কোরান অবমাননার অভিযোগে থানা থেকে বের করে খুন করল উত্তেজিত জনতা , পাকিস্তানের নানকানা সাহিব শহরের থানার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। মহম্মদ ওয়ারিসকে ওই থানা থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনে উত্তেজিত জনতা। তার পর তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
ধর্ম সংক্রান্ত হিংসার ঘটনা ফের ঘটল পাকিস্তানে। বছর কুড়ির যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। পুলিশি হেফাজত থেকে বের করে এনে ওই যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। শনিবারের এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছে পুলিশও। ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে খুনের ঘটনা প্রায়শই ঘটে পাকিস্তানে। ২০২১ সালে একটি কাপড়ের দোকানের ম্যানেজার এক শ্রীলঙ্কার নাগরিককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল। জেল থেকে করে পিটিয়ে খুন হওয়া ওই যুবকের নাম মহম্মদ ওয়ারিস। ২০ বছরের এই যুবকের বিরুদ্ধে ইসলামিক ধর্মগ্রন্থ কোরান অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল। গ্রেফতার করেও তাঁর জীবন বাঁচানো গেল না। থানা থেকে বের করে এনে তাঁকে পিটিয়ে মারা হল।
পাকিস্তানের নানকানা সাহিব শহরের থানার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। মহম্মদ ওয়ারিসকে ওই থানা থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনে উত্তেজিত জনতা। তার পর তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি মেরে ফেলার পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু থানার মধ্যে পুলিশ থাকতেও কী করে জনতা এক জন অভিযুক্তকে বের করে আনল সেই প্রশ্ন উঠছে। এই বিষয়ে পাকিস্তান পুলিশের মুখপাত্র মহম্মদ ওয়াকাস সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “উত্তেজিত জনতা যখন থানায় আক্রমণ করে, তখন থানায় পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী ছিলেন না। উত্তেজিত জনতাকে তাই আটকানো সম্ভব হয়নি।” যদিও ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন পরে পুলিশ এসে জনতাকে হঠিয়ে উদ্ধার করে। এবং জনতা যখন আগুন লাগানোকর চেষ্টা করছিল, তা আটকায় পুলিশবাহিনী।
আরও পড়ুন – মাধুরী দীক্ষিতের ২ হেয়ারমাস্কের টিপস, জেনে নিন ,
এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হাতে লোহার রড, লাঠি, নিয়ে থানায় ঢুকছে জনতা। এবং ওই ব্যক্তিকে পা ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন জনতা। মুখ ঘষতে ঘষতে যাচ্ছে ওই ব্যক্তির। পাকিস্তানে ধর্মঅবমাননা আইনের চোখে অপরাধ। কিন্তু সাধারণ মানুষের পিটিয়ে খুনের ঘটনা মুসলিম প্রধান এই দেশে মানবাধিকারের বিষয়টিকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত এবং সঙ্কটের অন্ধকারে নিমজ্জিত দেশের নাগরিকদের ধর্ম নিয়ে উন্মাদনাকে সামনে এনেছে এই ঘটনা।