ইমরান খান মানসিকভাবে স্থিতিশীল নন বললেন পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) গ্রেফতারির পর থেকেই অশান্তির আগুন ছড়িয়েছিল পাকিস্তানে। তারপর ইমরান মুক্তি পেলেও সেনা ও শেহবাজ শরিফ সরকারের সঙ্গে তাঁর ঠান্ডা লড়াই হয়ে চলেছে। তবে এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Pak Health Minister) আব্দুল কাদির প্যাটেল। তিনি ইমরান খানের ‘মানসিক সুস্থতা’ (Mental Stability) নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। এমনকি ইমরান খান অতিরিক্ত মাদক এবং মদ সেবন করেন বলেও অভিযোগ প্যাটেলের। আবার গত নভেম্বরে ইমরানকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছে এবং তার জেরে তাঁর পা ভেঙেছে বলে ইমরান যে দাবি করেছেন, সেটাও ‘মিথ্যা’ বলে পাল্টা দাবি জানালেন আব্দুল কাদির।
গত নভেম্বরে ইমরান খানের উপর হামলা হয় এবং সেই হামলায় তাঁর পা ভেঙেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রসঙ্গে এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাটেল বলেন, “মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর (ইমরান খান) পা সম্পূর্ণ ঠিক আছে। তবু তিনি পাঁচ-ছয় মাস ধরে পায়ে প্লাস্টার জড়িয়ে রেখেছিলেন।” নিজের যুক্তির সমর্থনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন, “আপনি কি কখনও কাউকে দেখেছেন যে ত্বক বা পেশিতে ক্ষতের জন্য প্লাস্টার করেন?”
যে চিকিৎসকরা PTI প্রধান ইমরান খানের পা ভেঙেছে বলে ভুল ঘোষণা করেছিলেন, তাঁদের জবাব তলব করার ব্যাপারে পাকিস্তান মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল কাউন্সিলের শৃঙ্খলা কমিটির কাছে লিখিতভাবে আবেদন করবেন বলেও বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল কাদির প্যাটেল বলেন, “ইনি আপনাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, যাঁকে নিয়ে ৫ সিনিয়ার চিকিৎসকের দল বলেছিলেন যে, তাঁর মানসিক স্থিতাবস্থা প্রশ্নের মুখে। তাঁর কিছু অসঙ্গত অঙ্গভঙ্গিও লক্ষ্য করা গিয়েছে।” স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “মেডিক্যাল রিপোর্টে চিকিৎসকরা বলেছেন যে, আমরা যখন দীর্ঘক্ষণ ধরে ইমরানের সঙ্গে কথা বলেছি তাঁর প্রতিক্রিয়া একজন সুস্থ মানুষের মতো ছিল না।”
আরও পড়ুন – কলেজে ভর্তি কী ভাবে, কত বছরের পাঠক্রম? জবাব মিলবে আগামী সপ্তাহে
ইমরান খান অতিরিক্ত মাদক এবং মদ সেবন করেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল কাদের প্যাটেল। তিনি বলেন, “গত ৯ মে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খান যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন, তখন চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর প্রস্রাবের নমুনা সংগ্রহ করেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, ইমরান খান অতিরিক্ত মদ এবং মাদক গ্রহণ করেন। প্যাটেলের মতে, মেডিক্যাল রিপোর্টে বিষাক্ত উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে অ্যালকোহল এবং কোকেনের অত্যাধিক উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।”