আগামী ১ এপ্রিল থেকে বাড়তে চলেছে সিগারেট, গুটখার দাম, সিগারেট, পান মশলার যাঁরা নিয়মিত খান তাঁদের পকেটে এ বার ছ্যাঁকা লাগতে চলেছে। কারণ আগামী ১ এপ্রিল থেকে বাড়তে চলেছে তামাকজাত পণ্যের দাম। এর জেরে সিগারেট, গুটখার প্যাকেটের দাম বাড়বে। তামাকজাত পণ্যের উপর জিএসটির হার বাড়িয়েছে কেন্দ্র। এর জেরে প্রস্তুতকারক সংস্থার খরচা বাড়বে। তার জেরেই দাম বাড়াতে পারে সংস্থাগুলি। তামাকজাত পণ্যে জিএসটি ক্ষতিপূরণের সর্বোচ্চ সেসের সীমা নির্ধারি করেছে কেন্দ্র। ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় অর্থমনন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ লোকসভায় যে বাটেজ পেশ করেছেন তাতেই এই সেসের সর্বোচ্চ সীমার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তা ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে লাগু হবে। এর জেরেই বাড়তে পারে দাম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিলের এই সংশোধনী তামাক ও এর পণ্য সরবরাহকারী সংস্থাগুলির জন্য কর নীতিতে বড় পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে এ খাতে কর ফাঁকিও অনেকাংশে বন্ধ করা যাবে। একই সময়ে, অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এই পদক্ষেপটি একটি পশ্চাদ অপসরণমূলক পরিকল্পনা হিসাবে কেউ কেউ বলতে পারেন। ফেব্রুয়ারিতে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের নেতৃত্বে জিএসটি কাউন্সিল, পান মসলা এবং গুটখা ব্যবসার ক্ষেত্রে কর ফাঁকি রোধ করতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সাথে একটি বৈঠক করেন এবং প্যানেলের দেওয়া রিপোর্ট অনুমোদন করেন। এর জেরেই দাম বৃদ্ধি।
আরও পড়ুন – সপ্তাহের শুরুতেই যানজটের আশঙ্কা কলকাতায়, বিকল্প হিসাবে কোন পথ দিয়ে যাবেন? বিস্তারিত…
বর্তমানে তামাকজাত পণ্য উৎপাদনের উপরে ১৩৫ শতাংশ লেভি ধার্য হয়। জিএসটি সংক্রান্ত এই ক্ষতিপূরণ ৫১ শতাংশ কররা কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। জিএসটি সংক্রান্ত সেসের এই হারের জেরেই তামাকজাত পণ্য উৎপাদন খরচ বাড়তে পারে। যার জেরে দাম বাড়াতে পারে সংস্থা গুলি। যার প্রভাব খুচরো বাজারেও পড়বে। যাঁরা রোজ এগুলি কেনেন তাঁদের খরচা বাড়বে। ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় অর্থমনন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ লোকসভায় যে বাটেজ পেশ করেছেন তাতেই এই সেসের সর্বোচ্চ সীমার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তা ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে লাগু হবে।