‘BJP-কে পছন্দ করি TMC-কে কেন ভোট দেব?’পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির ভিডিয়ো ফাঁস তৃণমূলের,পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘাসফুল শিবির কোন নীতিতে বিরোধীদের রুখতে চলেছে?তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল কৌতুহল।শনিবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।বৈঠকের পর তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
পীরজাদা তথা ISF-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকির একটি ভিডিয়ো সামনে আনে তৃণমূল।এই ভিডিয়োটিতে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে,“আমরা যারা বিজেপিকে পছন্দ করি তারা তৃণমূলকে কেন ভোট দেব কেন?”(ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি সাইন টিভি ২৪X৭ )
ভিডিয়ো দেখিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, “এতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে BJP-র হাতের পুতুল হিসেবে ISF কাজ করছে।”ISF,বাম,BJP এবং কংগ্রেসের অলিখিত জোট তৈরি হয়েছে,এই দাবিও করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।পাশাপাশি নওশাদ সিদ্দিকির ভাইরাল অডিয়ো চ্যাট প্রসঙ্গও এদিন উঠে আসে।এই চ্যাট প্রসঙ্গে ভবিষ্যতে আইনের দ্বারস্থ হতে পারে তৃণমূল,এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
নির্দল প্রসঙ্গে তৃণমূল…
দলে টিকিট না পেয়ে যাঁরা নির্দল হয়ে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এদিন তাঁদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা তৃণমূলের। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”নির্দলদের অনুরোধ করছি মনোনয়ন প্রত্যাহার করুন।দলকে সাহায্য করুন।না হলে ভবিষ্যতে দলের দরজা বন্ধ থাকবে।২০ তারিখের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করুন। দল আপনাদের বিষয়টি দেখবে।”
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মন্তব্য…
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য বার্তা দেওয়া হল তৃণমূলের তরফে।এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তরফে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,“তৃণমূল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকা বা না থাকা নিয়ে কিছু আসে যায় না।কারণ ২০১৬ সালে বিধানসভা,২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছে। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছে।”
ভোট মিটলেই দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন…
বিধানসভা নির্বাচন শেষ হলেই দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হবে,এদিনের বৈঠকে পাওয়া যায় এমনই ইঙ্গিত।
আরও পড়ুন – ভিডিয়ো প্রকাশ করে কেন্দ্রকে বিশেষ বার্তা কুস্তিগিরদের,
ISF-কে বেনজির আক্রমণ…
মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়।ISF-তৃণমূল সংঘর্ষে সেখানে প্রাণ গিয়েছে তিন জনের। এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে ISF-এর বিরুদ্ধে সুর চড়াল তৃণমূল।