নন্দীগ্রামে ৮৯৪টি ব্যালট পেপারে সই করতে পারেননি, হাইকোর্টে স্বীকার প্রিসাইডিং অফিসারের , ভোট মিটেছে। কিন্তু আদালতে এখনও জমে আছে মামলার পাহাড়। সামনে আসছে নিত্যনতুন সব অভিযোগ। নন্দীগ্রামে ৮৯৪টি ব্যালট পেপারে সই করতে পারেননি বলে হাইকোর্টে নিজেই স্বীকার করলেন প্রিসাইডিং অফিসার। তাঁর দাবি, নন্দীগ্রামের মতো জায়গায় প্রথমবার প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পাওয়ায় সব ব্যালটে সই করা সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে। এমন বক্তব্য শুনে হলফনামা তলব করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী ২৩ অগস্ট হলফনামা পেশ করতে হবে। জয়ী প্রার্থীর ভবিষ্যৎ মামলার ভবিষ্যতের ওপর নির্ভর করবে বলেই জানিয়েছে হাইকোর্ট।
কমিশন এদিন আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারকে চিঠি দেওয়া হলেও সেটা গ্রহণ করেননি তিনি। ওই ব্যক্তি হলদিয়ার পেট্রোকেমিক্যাল ইন্সটিটিউটে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত বলে জানা গিয়েছে।
নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের একটি বুথের ঘটনা। সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬টি ভোটে জয়ী হন সিপিএম প্রার্থী। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রায় ৪৯৪টি ভোটে জয়ী হয় বিজেপি। হাইকোর্টে মামলা করে তৃণমূল প্রার্থী জানায়, ৮৯৪টি ব্যালট পেপারের পিছনে প্রিসাইডিং অফিসারের কোনও সই ছিল না। মঙ্গলবার মামলার শুনানি চলাকালীন এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয় প্রিসাইডিং অফিসারকে।
আরও পড়ুন – ভাঙড়ে জয়ী আইএসএফ প্রার্থীর বদলে পরাজিত প্রার্থীকে বোর্ড গঠনের ডাক,
বিচারপতি এদিন বলেন, নিজের ডিউটি জানেন না? কেন সই ছিল না? এটা কি ওঁর পছন্দের ওপর নির্ভর করে? উত্তরে মদন মনোহর নামে ওই ব্যক্তি বলেন, “নন্দীগ্রামের মতো এলাকায় প্রথমবার প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ পড়েছিল। ৮৯৪টি ব্যালটে সই করতে পারিনি। সে দিন কেউ পাশে ছিল না। টিম বা জনগণ কেউ নয়। ব্যালটে তাই সই করা সম্ভব হয়নি।” রাত ২ টো পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ব্যালটে সই করতে পারলেও তারপর আর পারেননি বলেই জানান ওই ব্যক্তি। প্রিসাইডিং অফিসারের বক্তব্য শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা কমিশনের উদ্দেশে বলেন, প্রিসাইডিং অফিসার কী বলছেন ভাল করে শুনুন।