‘তৃণমূলের অনেক ব্যালট বাতিল হয়েছে’,কার দিকে আঙুল তুললেন মমতা,পঞ্চায়েত ভোটের গণনা এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। তবে এখনও পর্যন্ত যা অবস্থা,তাতে তৃণমূলের জয়জয়াকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।আরও একবার গ্রাম বাংলার দখল থাকছে ঘাসফুল শিবিরের হাতেই।আর এরপরই বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে বসলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পঞ্চায়েতের প্রচারে বেরিয়ে পায়ে চোট পাওয়ার পর থেকে বাড়িতেই ছিলেন তিনি।পায়ে চোটের পর এই প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে বসলেন তিনি।কী কী বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো
অনেকে আমাদের বিরোধিতা করেও সাহায্য করেছেন,সমালোচনা করে আমাদের আত্মনির্ভরতা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
যতদিন বিরোধী দলে ছিলাম শুধু মার খেয়েছি,আর লাঞ্ছনা সহ্য করেছি।সরকারে আসার পর,ওদিকে ২০১৪ সালে বিজেপি সরকারের আসার পর থেকে তাদের উগ্র বিদ্বেষমূলক মনোভাব। সৌজন্যতা মলিন করে দিয়েছে।কথায় ভদ্রতা নেই।শুধু মিথ্যা আর কুৎসা করে গিয়েছে।
আমি সর্ব ধর্ম,সর্ব বর্ণ,দরিদ্র সমাজের মানুষের ও শান্তি-সম্প্রীতির প্রতিনিধিত্ব করি।আজও জাগো বাংলায় আমার একটা কবিতা প্রকাশ হয়েছে ‘শান্তি’।কবিতা বিতান বইতেও দেখবেন বেশিরভাগ সময়ে আমি শান্তি-সংহতি নিয়ে কলম ধরেছি।
পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে।আমার যদি সত্যিই কোনও অপরাধ থাকে,যে শাস্তি মানুষ আমাকে দেবে,মাথা পেতে নেব। দাম্ভিকতা কোনও রাজনৈতিক দলের উদ্ধত্য হতে পারে না। মানুষের আশীর্বাদ-শুভেচ্ছা-দোয়া পেলে আরও নম্র হতে হয়।
ত্রিপুরায় দেখুন ৯৩ শতাংশ আসনে ভোট করতে দেওয়া হয়নি। যতবার আমাদের টিম গিয়েছে, হামলা করা হয়েছে। অসমে আমাদের টিম গিয়েছে,সেখানেও হামলা করা হয়েছে।
আমরা সরকারের থেকে আবেদন জানিয়েছিলাম।আমাদের ৩২ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে।যদি কোথাও কোনও ভুল-ভ্রান্তি হয়… মনে রাখবেন গণতন্ত্র সবাইকে নিয়ে।
গতকাল আমরা কিন্তু ঘুমোইনি।আমি আর আমার তৃণমূল পরিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত পাহারা দিয়েছে।আমার মুখ্যসচিব, পুলিশ, জেলাশাসকরাও পাহারা দিয়েছেন।অভিষেক রাত ৩টের সময় আমাকে বলছে, দিদি তুমি শুতে যাও এবার।
এখানে অনেকে কাজ করেন।কো-অর্ডিনেশন কমিটির অনেক সরকারি কর্মচারী রয়েছেন।তাঁরা অনেক জায়গায় ব্যালট পেপারে সই করেননি।ফলে আমাদের অনেক ব্যালট বাতিল হয়েছে। দোষটা কার?তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কেন?
আরও পড়ুন – ‘লজ্জা থাকলে বাংলা থেকে দূর হটো…’, রাজ্যপালকে বেলাগাম আক্রমণ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল…
আমরা মা দূর্গা,মা কালীর সাধক।আবার গান্ধীজি আমাদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পথপ্রদর্শক।আবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো অ্যাগ্রেসিভও কখনও কখনও।প্রয়োজন মতো।