প্রথম শত্রু হিংসা, দ্বিতীয় শত্রু দুর্নীতি দুর্নীতির’ বিরুদ্ধে ‘ক্রুসেড’ ঘোষণা রাজ্যপালের , রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের গণনাপর্বের মধ্য়েই রাজভবন থেকে বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নির্বাচনের সময়ে রাজ্যে যেভাবে অশান্তি ও রক্তারক্তির অভিযোগ উঠে এসেছে, তা দেখে অত্যন্ত ব্যথিত বাংলার সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যপালের কথায়, এই নির্বাচন আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দিল। রাজভবন থেকে আজ বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন হল একটি বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা। এখানে হিংসা বা অশান্তির কোনও স্থান নেই। নির্বাচনের ময়দান কোনও পেশিশক্তি প্রদর্শনের জায়গা হতে পারে না। বুলেটে নয়, নির্বাচনে লড়াই হয় ব্যালটে। এই উপলব্ধিটি একাংশের মধ্যে আসা প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, রাজ্য নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই যেভাবে অশান্তি, রক্তারক্তির অভিযোগ উঠে এসেছে, তা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে রাজভবনে ইতিমধ্যেই তিনি একটি পিস রুম চালু করেছেন। রাজ্যের যে প্রান্ত থেকে যখনই কোনও অভিযোগ পেয়েছেন, চেষ্টা করেছেন সেখানে পৌঁছে যাওয়ার। ফোনেও কথা বলেছেন আক্রান্তদের সঙ্গে। আর আজ পঞ্চায়েতের গণনার দিন হিংসা ও অশান্তির বিরুদ্ধে ক্রুসেড ঘোষণার কথা বললেন তিনি।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বললেন, ‘আজকের দিনে বাংলার অ্যাজেন্ডা হওয়া উচিত – দুই কমন শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা। প্রথম শত্রু হিংসা, দ্বিতীয় শত্রু দুর্নীতি। আজ হিংসা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্রুসেড ঘোষণা করার সময় এসেছে।’ গত কয়েক দিনে রাজ্যে নির্বাচন পর্বে যেভাবে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে, তা দেখে অত্যন্ত মর্মাহত বোস। হিংসার ঘটনার কড়া নিন্দা করে রাজ্যপাল সকলের কাছে আহ্বান জানান, যাতে অশান্তি ও হিংসা বন্ধ করতে প্রত্যেকে এগিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন – ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় হবে’, পঞ্চায়েতের গণনার দিনে মন্তব্য পার্থর
একটি গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় নির্বাচনের গুরুত্ব কতটা, তাও বোঝালেন তিনি। নির্বাচনে যে প্রত্যেক ভোটার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, তাও তুলে ধরেন তিনি। রাজ্যপালের বক্তব্য, রাজনৈতিক দলগুলির ভিন্নতা থাকলেও নির্বাচনের পর প্রত্যেককে একসঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করা প্রয়োজন।