ভাঙড়ের অশান্তি সরাসরি নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত নয়, জানা যাচ্ছে কমিশন সূত্র মারফত, ভোটগণনার রাতে নতুন করে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কাঁঠালিয়ার গণনাকেন্দ্রের বাইরে। মুহুর্মূহু বোমাবাজি। গুলি চলার শব্দ। গতরাতের অশান্তির পর থেকে তিনজনের মৃত্যুর খবর এসেছে। দুইজন আইএসএফ সমর্থক বলে দাবি। তৃতীয়জন সাধারণ গ্রামবাসী। আহত হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও। এদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা, গতকাল রাতে ভাঙড়ের অশান্তির ঘটনা সরাসরি নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত নয়। কমিশন সূত্র মারফত এটাই জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভাঙড়ের গতকালের ঝামেলায় মৃত্যুর ঘটনা ইতিমধ্যেই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন জানানো হয়েছে। ভাঙড়ের মৃত্যুর ঘটনায় যাতে সিবিআই তদন্ত দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। আগামী সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই ইস্য়ু নিয়ে আজ মুখ খুলেছেন। ভাঙড়ে তৃণমূলের বিশেষ দায়িত্বে থাকা শওকত মোল্লাও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে। সিট গঠন করে ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি। দোষীদের যাতে দ্রুত চিহ্নিত করা হয়, সেই দাবিও রয়েছে শওকতের। এমন অশান্তি আগে কখনও ভাঙড়বাসী দেখেনি, বলছেন তৃণমূল নেতা। ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীর আবার দাবি, গতরাতের ঘটনার যাতে সিবিআই তদন্ত করানো হয়।
আরও পড়ুন – কেন্দ্রীয় বাহিনীও গণনাকেন্দ্রের বাইরে মোতায়েন ছিল, তারপরও কীভাবে রাতে ভাঙড়ে গন্ডগোল হল?…
কমিশন সূত্রে খবর, ভাঙড়ের ঘটনা প্রসঙ্গে জেলাশাসকের তরফে কমিশনের কাছে আলাদা করে কিছু জানানো হয়নি। তাছাড়া কোনও রাজনৈতিক দলের তরফেও অশান্তির কোনও অভিযোগ কমিশনের কাছে আসেনি। তাই কমিশনও স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোনও পদক্ষেপ করেনি। আজ সন্ধেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকেও এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি স্পষ্টভাবে কিছু উত্তর করেননি।