‘সিবিআই অভিষেককে আটকে দিলে লোকসভায় প্রার্থীই দিতে পারবে না’, মন্তব্য করে জল্পনা উস্কে দিলেন দিলীপ ঘোষ। মনোনয়ন পর্বে অশান্তি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে যখন প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা, তখন আবারও তৃণমূলের সর্বভারতী সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিবিআই-তলব নিয়ে জল্পনা উস্কে দিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাঝে বর্তমানে মেদিনীপুরে রয়েছেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে নানা প্রশ্নে উঠে আসে পঞ্চায়েত মামলা প্রসঙ্গ। দিলীপ ঘোষ বলেন, “যদি প্রশাসন চাইত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক, তাহলে আদালতে আমাদের যেতে হত না। প্রথম দু’দিন, শুক্র ও শনিবার প্রশাসন প্রস্তুতই ছিল না। ডিসিআর কাটা যাচ্ছিল না, ফর্ম পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক বিডিওকে দেখেছি, এক এক দিন করে এক এক পার্টিকে সময়ে দিয়ে দিয়েছেন। এটা সকলে করলেই ভাল হত।” সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “তৃণমূলের কাছে প্রার্থী নেই। খোকাবাবুকে যদি সিবিআই আটকে দেয়, তাহলে পার্লামেন্টেও প্রার্থী পাবে না। ”
দিলীপ বলেন, “কালকে সবচেয়ে বেশি নমিনেশন আমরাই করেছি। আর শেষ পর্যন্ত আমরাই থাকব।” তবে মনোনয়নে একাধিক জায়গায় যে অশান্তি হচ্ছে, আর তাতে যে তৃণমূলই অধিকাংশ স্তরে দায়ী, সেকথা এদিনও বললেন দিলীপ ঘোষ। তবে সঙ্গে এটাও স্পষ্ট করে দিলেন, “এই তিন দিন ধরে যে গোলমাল হয়েছে, তাতে প্রশাসন কটা ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়েছে । কেউ বন্দুক বের করলে, তাকে তো ঢিল মারবেই লোক, দম থাকলে পুলিশ আটকাক।” দিলীপ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, হামলা হলে হবে, তবে তার সম্মুখীন হয়েই এবারের নির্বাচন লড়তে প্রস্তুত বিজেপি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এটা আর নতুন কথা কী, ওকে ডাকা হয়েছে, প্রায়ই ডাকা হচ্ছে। ওর পরিবারের লোককেও ডাকছে। যাকে সন্দেহ হচ্ছে তাকে ডাকা হচ্ছে। এদিকে বলছে, ফাঁসি দিয়ে দিক চৌরাস্তায় আর ওদিকে সুপ্রিম কোর্টে দৌড়াচ্ছে রক্ষাকবচ চেয়ে। দুটো জিনিস একসঙ্গে চললেই তো মানুষ সন্দেহ করবে।”
আরও পড়ুন – ‘সম্পর্কহীন বিষয়ে’ কেন তলব? ইডিকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চাইলেন অভিষেক,
তবে একাধিক বাধা পাওয়ার মধ্যেই বিজেপি-ই সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছে বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “তৃণমূল ভেবেছিল, ব্যারিকেড করে, পুলিশ দিয়ে যেভাবে পারবে মনোনয়ন আটকাতে। কিন্তু সেটা পারেনি। কালকে আমরা ৬০ শতাংশের বেশি মনোনয়ন ফাইল করে দিয়েছি। ঝাড়গ্রাম, ঘাটাল, মেদিনীপুর এই এলাকাগুলিতে ভালই মনোনয়ন হয়েছে। বাকি আজ কাল করে নেব। যেখানে যেখানে গা জোয়ারি করেছে, সেখানে আমি নিজে দেখতে গিয়েছি।” এ বিষয়েই তাঁর সংযোজন, “বিডিও অফিসের বাইরে শয়ে শয়ে লোক লাগিয়ে তাঁবু খাটিয়ে লোক জমা করেছে। আমি দেখতে যাওয়ায় গালাগালি দিয়েছে। পুলিশও মানা করছে না, বিডিও, নির্বাচন কমিশনও মানা করছে না। ওরা যদি মনে করে গা জোয়ারি করে ভোট করাবে, আমরাও প্রস্তুত আছি এবারে।”