গোপন জায়গায় রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী , নিখোঁজ কংগ্রেস প্রার্থীর ভিডিয়ো দেখে কড়া পদক্ষেপ বিচারপতি মান্থার। সোমবার রাতেই জয়পুর থানার তরফে একটি ভিডিয়ো দেখানো হয় আইনজীবীকে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মিদ্দা একজন পুলিশের সামনে বলছেন, “আমি গোপন জায়গায় আছি। গোলমাল মিটলে বাড়ি যাব।” হাওড়ার কংগ্রেস প্রার্থীর নিখোঁজ রহস্য-মামলা। এবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে একটি ভিডিয়ো পেশ করলেন আইনজীবী। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ‘নিখোঁজ’ কংগ্রেস প্রার্থী সুকুমার মিদ্দা এক জন পুলিশ কর্মীকে বলছেন, তিনি স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছেন। তাতেই মামলার মোড় ঘুরল অন্যদিকে। হাওড়ার জয়পুর থানা এলাকায় কংগ্রেস প্রার্থী সুকুমার মিদ্দাকে মনোনয়ন তুলতে চাপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ। সোমবার এর প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে একটি মামলা দায়ের হয়। সোমবার রাতেই জয়পুর থানার তরফে একটি ভিডিয়ো দেখানো হয় আইনজীবীকে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মিদ্দা একজন পুলিশের সামনে বলছেন, “আমি গোপন জায়গায় আছি। গোলমাল মিটলে বাড়ি যাব।”
পরিবারের বক্তব্য, সম্ভাব্য সমস্ত জায়গাতেই খোঁজ করা হয়েছে। তারপর না খুঁজে না পাওয়া যাওয়ায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও আদালতে আইনজীবীর তরফে যে ভিডিয়ো পেশ করা হয়েছে, তাতে সুকুমারকে সুস্থ অবস্থাতেই দেখা গিয়েছে। তিনি যে স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছেন, তা ভিডিয়োতে স্বীকার করেছেন। আদৌ সেটি চাপ তৈরি করে বলানো কিনা, সেই বিষয়টিই এবার পুলিশকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
আদালতে এই ভিডিয়ো দেখান আইনজীবী। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, এই মামলায় যে পিটিশন জমা পড়েছে, সেটিকেই এফআইআর হিসাবে গণ্য করতে হবে পুলিশকে। যাদেরকে অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, সুকুমারকে অপহরণ করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করা হয়েছে। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন তিনি। বিচারপতির বলেন, পুলিশকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে, ভিডিয়োতে সুকুমারের যে বক্তব্য, তা জোর করে বলানো হয়েছে নাকি তিনি স্বেচ্ছায় বলেছেন, তা জানতে হবে। তাঁকে ম্যাজিস্ট্র্যাটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আর সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকেই।
বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ১৯ জুলাই এই নিয়ে পুলিশকে রিপোর্ট দিতে হবে। পরিবারের লোক প্রয়োজনে নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করবে।
আরও পড়ুন – ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী শীঘ্রই পৌঁছবে রাজ্যে, জানাল শাহি মন্ত্রক,
প্রসঙ্গত, সুকুমার মিদ্দা কাশমুলি অঞ্চলের ১৩৯ নম্বর বুথে কংগ্রেসের হয়ে টিকিট পেয়েছিলেন। পরিবারের দাবি, গত ১৪ জুন তিনি কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়ন জমাও দিয়েছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, গত ২০ জুন তৃণমূলের লোকজন মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করেছে। তারপর থেকেই আর সুকুমারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।