ভোট আবহে নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থীদের রক্ষাকবচ দিল আদালত , প্রার্থীদের আইনজীবীরা আদালতে এদিন উল্লেখ করেন, নন্দীগ্রাম বর্তমানে রাজ্য রাজনীতির ভর কেন্দ্র। তাই সেখানে বিরোধীদের হেনস্থা করে ভোটের ময়দান থেকে দূরে রাখার চেষ্টা। নন্দীগ্রামে দুটি ব্লকের বিজেপি প্রার্থীদের আইনি রক্ষাকবচ চেয়ে মামলা। সেই মামলায় স্বস্তিতে বিজেপি। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। নন্দীগ্রামের দুই ব্লকের বিজেপি প্রার্থী, এজেন্ট, পদাধিকারী, সমর্থক সব মিলিয়ে ৫০ জনের বিরুদ্ধে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের বিজেপি প্রার্থীরা আইনি রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন জানালেন হাইকোর্টে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলাটি ওঠে। বিজেপির প্রার্থীর আইনজীবীর তরফে সওয়াল করা হয়, বিভিন্নভাবে তাঁদের মক্কেলদের হেনস্থা করা হচ্ছে। ভোট যত এগিয়ে আসবে, তত সেই হেনস্থা বাড়বে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন – ইডি সূত্রে চাঞ্চল্যকর তথ্য! নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করেছেন কালীঘাটের…
প্রার্থীদের আইনজীবীরা আদালতে এদিন উল্লেখ করেন, নন্দীগ্রাম বর্তমানে রাজ্য রাজনীতির ভর কেন্দ্র। তাই সেখানে বিরোধীদের হেনস্থা করে ভোটের ময়দান থেকে দূরে রাখার চেষ্টা। দু’দিন আগেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে নন্দীগ্রামের ৩০ থেকে ৪০ জন প্রার্থী ও সমর্থক আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁদের আবেদন, অন্তত ভোট পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ যাতে না করা হয়। কারণ তাতে তাঁদের ভোটের প্রচার ও ভোটপ্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া বিঘ্নিত হবে। আইনি রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।
এ দিন শুনানির সময়ে রাজ্য পুলিশ ও মামলাকারীরা দু’পক্ষের তরফেও পুরনো ও নতুন মিলিয়ে প্রায় ১৬টি মামলার তালিকা আদালতের পেশ করা হয়। আবেদনকারীদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে এই মামলাগুলো সামনে রেখে তাঁদের হেনস্থা করা হতে পারে। রাজ্যের তরফে বলা হয়, কী কী কারণে মামলা রুজু, তা উল্লেখ করে। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন, তদন্ত চলতে পারে। কিন্তু ভোটের আবহে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে।
( সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube)