‘৩০ সেকেন্ডে মানুষটা মরে যেতে পারত’, জনতার দরবারে বিচার চাইলেন মমতা, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে ভোট প্রচারে গিয়ে দুর্যোগের কবলে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর চপার। পায়ে ও কোমরে আঘাত পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ইতিমধ্যেই বিশিষ্ট চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা করছে। চলছে বিশেষ থেরাপিও। সে কারণেই কথা থাকলেও সোমবার বীরভূমের দুবরাজপুরে সভা করতে যেতে পারেননি মমতা। বদলে ভার্চুয়ালি সে বৈঠকে বার্তা দেন তিনি। জানান, এখন অনেকটাই ঠিক আছেন তিনি। পায়ে-কোমরের চোট সারিয়ে খুব শিগগিরিই আবারও ময়দানে নামবেন। তবে একইসঙ্গে সেদিনের দুর্যোগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর কথা শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। সেদিন তাঁর চপার আর একটু হলেই বড় দুর্ঘটনার শিকার হতো বলে জানান তিনি।
বর্তমান শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “এখন আমার রোজ চার ঘণ্টা ধরে নানারকম থেরাপি করতে হচ্ছে। আমার আরও ৭-৮ দিন লাগবে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে হয়ত আপনাদের কাছে গিয়ে পৌঁছতে পারছি না। মানসিকভাবে আমার মন ছটফট করছে আপনাদের কাছে যাওয়ার জন্য।”
মমতা জানান, এখন প্রতিদিন চার ঘণ্টা ধরে থেরাপি চলছে তাঁর। এমনকী এক, দু’টো ছোটখাটো অপারেশনও করতে হতে পারে, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, “মাইনর অপারেশন করে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে যাব। চিন্তা করবেন না। আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে একেবারে সুস্থ আছি। আসলে হাঁটুতে লেগেছে। কোমরেও লেগেছে লাফাতে গিয়ে। জানি না এর মধ্যে আরও কিছু আছে কি না।”
আরও পড়ুন – বাইকে রওনা, দেখা হতেই রাজ্যপালের পা ধরে কেঁদে ফেললেন বাসন্তীর নিহত তৃণমূল…
এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “আমি এমনি ঠিক আছি। কিন্তু আমার কোমরে এবং পায়ে চোট আছে। আর ৩০ সেকেন্ড হলেই হেলিকপ্টারটা ক্র্যাশ করে যেত, নষ্ট হয়ে যেত। আমাদের সরকার মানুষের জন্য যা কাজ করেছে, যারা বড় বড় কতা বলে ভোটের সময়, এমনকী আমার দুর্ঘটনা নিয়েও। যে মানুষটা ৩০ সেকেন্ডে মরে যেতে পারত, তার সম্পর্কেও উল্টোপাল্টা বলে বেড়াচ্ছে, অপপ্রচার করছে। আমি জনগণের কাছে এর বিচার চাইব।”