পঞ্চায়েতের নির্বাচনের দফা নিয়ে কী জানালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার , এক দফাতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিরোধীরা দাবি তুলেছেন দফা বাড়ানোর। কিন্তু এখনই দফা বাড়ানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এক দফাতে কীভাবে বাংলার এত গুলো পঞ্চায়েত নির্বাচন? কীভাবে তা সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। সর্বপ্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বাড়ানো নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই দাবিতে সঙ্গ দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করানোর দাবিতেও সরব হয়েছিলেন তাঁরা।
শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে সাংবাদিকরা কমিশনার রাজীব সিনহাকে এই নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি শুধু দফা নিয়ে ‘ওয়ান লাইনার’ দেন। আর এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি তিনি। তবে কমিশনার জানিয়েছেন, বাংলায় ইতিমধ্যেই গ্রাম পঞ্চায়েতে ৮ হাজার ২ টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতিতেও ৯৯১টি ও ১৬ টি জেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটের ফয়সালা হয়ে গিয়েছে।
তবে কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সরব বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশও অমান্য করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।’ ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, এক দফায় এত বাহিনী পাওয়া সম্ভব নয়। তাই দফা বাড়াতে হবেই। সিপিএমেরও এক সুর। দফা বাড়লে বাহিনী মোতায়েন সুষ্ঠু হবে, বক্তব্য তাদের।
প্রশ্ন হল, আদালতে দফা বাড়ানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে?কারণ এর আগে ২০১৩ সালে কমিশন নিজে আর্জি জানিয়েছিল দফা বাড়ানোর জন্য।এক্ষেত্রে বাদ রাখা যাবে না রাজ্যকেও।সেখানেই প্রশ্ন রাজ্য কি আদৌ এব্যাপারে সম্মতি দেবে?
আরও পড়ুন – রাজ্যে টহলদারি শুরু করল কেন্দ্রীয় বাহিনী, গণনার পরে আরও ১৫ দিন রাজ্যে…
প্রথমে রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানোর পক্ষে ছিল রাজ্য। অনেক আইনি লড়াইয়ের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।তারপর শুরু হয় বাহিনী বাড়ানো নিয়ে জটিলতা।আইনি লড়াইয়ের পর শেষমেশ বাহিনী বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।প্রথমে ২২ কোম্পানি,পরে আরও ৮০০ কোম্পানি চায় রাজ্য।কিন্তু এবার দফা নিয়ে জটিলতা।যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট করে দেন,এখনও দফা বাড়ানো নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।