বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে মহিলারা মাসে ২ হাজার টাকা পাবেন বললেন শুভেন্দু , পঞ্চায়েত ভোটের (West Bengal Panchayat Elections 2023) প্রচারে নেমে কড়া ভাষায় রাজ্য সরকার, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও জেলা পুলিশকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের নামে কমিশনে জানানোর হুঁশিয়ারির পাশাপাশি হাইকোর্টে মামলা করার কথাও বললেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বক্তব্য, পুলিশ সুপার অমরনাথ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে হেঁটেছেন। ভোটের মুখে শুভেন্দুর হুমকি, “এমন কাউকে দিয়ে কী করে ভোট করানো যায়? যদি নির্বাচন কমিশন তাঁকে না সরায় তাহলে অভিষেকের মিছিলে হাঁটার ছবি নিয়ে কোর্টে যাব।” বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের সমর্থনে রবিবার নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় প্রার্থী পরিচিতি সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই এই কথা বলেন তিনি। এদিন আরও একবার ভোটের দফার কথা শোনা যায় তাঁর গলায়। শুভেন্দুর বক্তব্য, কেন্দ্র যে ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী দিয়েছে তাতে তিন দফায় ভাগ করে পঞ্চায়েত ভোট করানো দরকার। এক্ষেত্রে শুভেন্দু ডেডলাইনও দেন। বলেন, “বুধবার পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।”
বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা নয়, ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, “আমাদের অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মাতৃশক্তিকে ৩ হাজার টাকা করে দেন। আমাদের মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ঢাক ঢোল বাজান না, ২ হাজার টাকা করে মাতৃমণ্ডলীর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন। যেদিন বিজেপি এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে ৫০০ নয়, রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করেছেন, আমিও তাঁর সাথী ২ হাজার টাকা করে মাতৃমণ্ডলীকে দেব।”
তৃণমূল সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসে ৫০০ টাকা দেয়। এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। বেকারদের চাকরি না দিয়ে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে ভোট কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন বিরোধী নেতারা। এবার বিজেপিও বলছে, ক্ষমতায় এলে মাসে ২০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। যেখানে কর্মসংস্থান না করে মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা দেওয়া নিয়ে বিজেপি সরব, সেখানে এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন – মমতা বলেছিলেন মাওবাদী, আজও চলছে মামলা, শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে কি জানলেন…
শুভেন্দুর দাবি, নন্দীগ্রামের মানুষ ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে দিয়েছে তারা ঘরের ছেলেকেই চায়। কোনও বহিরাগতর এখানে ঠাঁই নেই। ভোট মানে বিজেপিতেই ভরসা রাখেন এখানকার মানুষ। শুভেন্দু বলেন, “ভোটের দিন নন্দীগ্রামে থাকব, ভোট দেব, রাত জাগব। নিজেরা সিসিটিভি লাগাব, গণনার দিনও সুরক্ষা দেব।”
কড়া বার্তা দেন প্রশাসনকেও। বলেন, বিজেপির নেতা কর্মীদের যদি পুলিশ অযথা কিছু করে, ২০০৭ সালের থেকেও বেশি কিছু দেখতে হবে। শুভেন্দু বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী, নেতা-কর্মীদের কোনও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হলে তার পরিণতি ভুগতে হবে। একইসঙ্গে পটনায় একমঞ্চে তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএম নেতৃত্বের থাকা নিয়েও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। বলেন, “বাংলায় কুস্তি আর পটনায় দোস্তি। ওখানে খোস গল্প, কফি খাওয়া হচ্ছে।”