বাইকে রওনা, দেখা হতেই রাজ্যপালের পা ধরে কেঁদে ফেললেন বাসন্তীর নিহত তৃণমূল কর্মীর মেয়ে , শনিবার তাঁর বাবা ‘খুন’ হয়েছেন। বাবার মৃত্যুতে গত দু’দিনে চোখের পাতা এক করতে পারেননি নিহত তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লার মেয়ে মনোয়ারা পিয়াদা। রাজ্যপাল আসছেন শুনেই তিনি মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানতে পারেন, রাজ্যপাল আসছেন বটে, তবে বাসন্তীর গাগড়ামারি গ্রামে তাঁদের বাড়িতে যাবেন না। তারপরই পরিচিতের বাইকে চেপে জিয়ারুলের মেয়ে রওনা দেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে। ক্যানিংয়ে এসে পৌঁছন। ক্যানিংয়ে রাজ্যপাল তখন ক্যানিংয়ের সেচ দফতরের বাংলোয়। সেখানেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন জিয়ারুলের মেয়ে মনোয়ারা পিয়াদা। তিনি রাজ্যপালকে দেখা মাত্রই পা জড়িয়ে ধরেন। পা জড়িয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। বাবার খুনের বিচার চান তিনি।
নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যরা মুখিয়ে ছিলেন রাজ্যপালের কাছে গোটা বিষয়টি খুলে বলার জন্য। রাজ্যপাল তাতে সম্মতি দেন। নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন, রাজ্যপাল হয়তো গ্রামে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু রাজ্যপাল গ্রামে আসছেন না শুনেই প্রথমটায় কিছুটা ভেঙে পড়েছিলেন নিহত তৃণমূল কর্মীর মেয়ে। সোমবার ক্যানিংয়ে এসে পৌঁছন রাজ্যপাল। পরিচিতের বাইকেই বাড়ি থেকে রওনা দেন জহিরুলের মেয়ে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হতেই পা জড়িয়ে ধরেন মনোয়ারা, কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বাবার ‘খুনে’র উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন – পঞ্চায়েত ভোট বাতিল এবং রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়ে মামলা খারিজ
রাজ্যপাল তিন দিন ছিলেন উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে অশান্ত ভাঙড়, ক্যানিং পরিদর্শনে আগেই গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু সম্প্রতি জেলা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাসন্তীর তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায়। খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গের সফর সেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আসার কথা জানান রাজ্যপাল। রবিবার কলকাতা ফেরার পর সোমবারই রাজ্যপাল যান দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। তিনি বাসন্তীর চাত্রাখালি গ্রামে জহিরুলের মৃত্যুর স্থল পরিদর্শন করেন। রাজ্যপাল আসছেন শুনে তাঁর সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানিয়েছিলেন নিহত তৃণমূল কর্মীর মেয়ে। কিন্তু রাজ্যপাল জহিরুলের বাড়িতে যাননি।