মামলা করেছিলেন শুভেন্দু,পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার ওপর অন্তর্বতী স্থগিতাদেশের মেয়াদবৃদ্ধি,এবার তা আরও বাড়িয়ে করা হল ৯ মার্চ পর্যন্ত। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) জানিয়েছে, আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণা করা যাবে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণা করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হল। অন্তর্বতী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এ নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ,
এর আগে, মামলার গোড়ার দিকে, ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নির্ঘণ্ট বা বিজ্ঞপ্তি জারির মতো কোনও পদক্ষেপ করবে না বলেই আশা করে হাইকোর্ট। এর আগেও, একাধিক বার এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বুধবার ফের তার পুনরাবৃত্তি হল। এ দিকে, কবে পঞ্চায়েত নির্বাচন, দিন ক্ষণ নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যেই ভোটারের সংখ্য়া বেড়েছে রাজ্যে। ২০১৮-র তুলনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বাড়ল ১১.৫১%। ২০১৮-র তুলনায় ভোটার সংখ্যা বাড়ল ৫৮ লক্ষ ৫১ হাজার ১১৭। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে সম্প্রতি এমনই জানিয়েছে কমিশন।
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ফের বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ। বুধবার তা আরও বাড়িয়ে আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত করা হল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু মূলত এ নিয়ে মামলা করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, অনগ্রসর শ্রেণির জনগণনা হচ্ছে যে ভাবে, তার পদ্ধতিকে এবং শুধুমাত্র ওবিসি জনগণনা হবে, তফসিলি জাতি বা উপজাতিদের গণনা কেন হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন – দেড় হাজার চাকরিপ্রার্থীর তালিকা এসপি সিনহার বাড়িতে, আর কি কি হাতে পেলো…
এর পাশাপাশি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ নাও হতে পারে বলে আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করেন শুভেন্দু। এ প্রসঙ্গে অতীতের উদাহরণ টেনে এনেছিলেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক পঞ্চায়েত নির্বাচনেও, যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটদান করতে পারেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে বলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু।