আইসিডিএস কর্মীকে মারধর ও শ্লীলতা হানির অভিযোগ অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। আইসিডিএস কর্মীকে দৈহিক নির্যাতনের অভিযোগ অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। নিম্নমানের খাবার ও অর্ধেক ডিম দেওয়ার অভিযোগ ঐ আইসিডিএস কর্মীকে লাঠি দিয়ে মারা হয় ও তাঁর শাড়ি ছিড়ে দিয়ে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে বৈষ্ণবনগরের হযরত টোলায় আইসিডিএস সেন্টারে। ঘটনা জানতে পেরে বৈষ্ণবনগরের সমস্ত আইসিডিএস কর্মীরা থানায় জড়ো হয়ে অভিযুক্ত অভিভাবকদের গ্রেপ্তার করার দাবি করেন । এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শুক্রবার হযরত টোলা আইসিডিএস সেন্টারে বাচ্চাদের খাবার রান্না এবং খাবার খাওয়ানোর দিন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এদিন ছাত্র-ছাত্রীদের খিচুড়ি ও অর্ধেক ডিম দেওয়া হয়। এই খাবার দেখার পরেই কয়েকজন অভিভাবক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। আইসিডিএস কর্মী পূর্ণিমা সাহাকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এমনকি তাঁর শাড়ি ছিড়ে দেওয়া হয় ও মাথার চুল ধরে টানাটানি করা হয়। পূর্ণিমা সাহাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা তাঁকে সিটিস্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন।
অভিভাবকদের তরফে অভিযোগ,ওই সেন্টারে প্রায়ই অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। গোটা ডিম দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও প্রায়ই অর্ধেক ডিম দেওয়া হয়। তাই কয়েকজন অভিভাবক আইসিডিএস কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন – মানুষের হয়ে কথা বলতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী
এক আইসিডিএস কর্মী জানান, আমাদের এক কর্মী পূর্ণিমা সাহা কে অভিভাবকরা মিথ্যা অভিযোগে মারধর করেছে। তাই বৈষ্ণবনগরের সমস্ত আইসিডিএস কর্মীরা থানার সামনে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যে খাবার আসে তা সকল শিশুকেই দেওয়া হয়। এদিন অর্ধেক ডিম দেওয়া হয়েছে বলে পূর্ণিমা সাহাকে মারধর করা হয়েছে। আমরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা চাই অভিযুক্তদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হোক।‘ কর্মীকে মারধর