‘দলের এখন পয়সা হয়েছে, আর আমাকে কী দরকার?’, ঘনিষ্টমহলে ক্ষোভ উগরে দিলেন জেলবন্দি পার্থ, গত বছর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে সেটাই ছিল পার্থর শেষ দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ। প্রতি বছরই ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান পরিচালনার অন্যতম দায়িত্বে থাকতেন পার্থ। মঞ্চের দেখভাল থেকে সঞ্চালনা, সব ভারই তাঁর হাতে ন্যস্ত করা থাকত। অথচ এবার তিনি জেলে। তিনদিন আগেই ধর্মতলায় পালিত হয়েছে ২১ জুলাই। দল তাঁকে দূরে ঠেলেছে সেই কবেই। তবে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে কারও মুখে একবারও তাঁর নাম না শোনায় অভিমানী এক সময়ের তৃণমূলের মহাসচিব। ঘনিষ্ঠমহলে বলছেন, দল ২০০ জনকে নিয়ে যখন একুশে পালন করত, তিনি পুরোভাগে থেকে সবটা করতেন। এখন দলের টাকা হয়েছে, লোক বেড়েছে, তাই তাঁকে আর মনে রাখবে কেন?
সূত্রের খবর, প্রাক্তন মন্ত্রী এমনও বলেন, তাঁর সাড়ে পাঁচ বছরের মন্ত্রিত্বের সময় আড়াই লক্ষ চাকরি হয়েছে। ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও বেড়েছে। একুশের নির্বাচনে তো জিতে এল এই সরকার প্রায় তিন বছর হয়ে গেল। কত জনকে চাকরি দিয়েছে? ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছে নিয়োগকাণ্ডে। তা নিয়েও নাকি পার্থ বলেছেন, এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা এই মামলায় যুক্ত।তবে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি। সূত্রের দাবি, পার্থ এদিন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারছে না। ট্রায়াল শুরু করতে পারছে না।বলছে অন্য একটা ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধারের টাকা আমার।আমি বলছি ওই টাকা যে আমার সেটা কে বলল?’
আরও পড়ুন – মুক্তি চাই! নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে এ বার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন পার্থ…
সোমবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর,সেখানেই ঘনিষ্ঠমহলে পার্থ বলেন, ‘একুশের সভা থেকে আমার নাম করে কিছু বলেনি দেখে আমি খুশিই হয়েছি। যা খুশি বলে দিলে আমারই সমস্যা হত।’ সূত্রের খবর,পার্থ এদিন বলেন,‘যখন দলে ২০০ জন লোক নিয়ে ২১ জুলাই হত,আমি করতাম।চাকরি ছেড়ে এসেছিলাম। এখন দল বড় হয়েছে।ক্ষমতায় আছে।দলের অনেক টাকা পয়সা হয়েছে। এখন আর আমার দরকার কী।মনে আছে আমি রুটি কালেক্ট করে একুশের সমাবেশ করতাম।অন্য কারোর কি মনে আছে?’