দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে বের হয়ে সাধারণ মানুষের নানা সমস্যার সমাধান করলেন পার্থপ্রতিম রায়।এদিন প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে তৃণমূল নেতা প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় দেখলেন বেলা সোয়া ১১ টাতেও স্কুলের গেটে তালা। স্কুলের ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীরা অন্য গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকলেও নেই কোন শিক্ষক। দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের পুটিমারি এক গ্রাম পঞ্চায়েত বসগীরের ধাম এ পি প্রাথমিক স্কুলে সোমবার এই ঘটনা ঘটে।
স্কুলের শিক্ষকরা সময়মতো না আসায় এ দিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও। প্রাক্তন সংসদ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায় এদিন স্কুলের এই চিত্র দেখে স্কুলের সামনে থেকেই শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের ফোন করে বিষয়টি জানান তিনি। এসআই থেকে শুরু করে ডি আই সকলকে বিষয়টি দেখার কথা বলেন। প্রয়োজনে তিনি জেলাশাসকের সাথেও কথা বলবেন বলে জানান।ওই স্কুলের বিরুদ্ধে গ্রামের বাসিন্দারাও শিক্ষকদের দেরিতে আসার অভিযোগ তুলে ধরেন দিদির দূত পার্থপ্রতিম রায়ের কাছে।
এদিন পুটিমারি এক গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিরধাম এলাকা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। সেখানে একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে পার্থপ্রতিম সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন। পার্থপ্রতিমকে দিন করতাল বাজাতেও দেখা যায় ওই মন্দিরে। এরপর কর্মসূচি শুরু হলে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান অনেকে। বেহাল ওই রাস্তা যাতে দ্রুত করা যায় তার জন্য তিনি তাদেরকে আশ্বস্ত করেন। এরপরেই তিনি বসগীরধাম এলাকায় ওই প্রাথমিক স্কুলে এলে স্কুলের গেটে তালা দেখেন। তখন ঘড়িতে বাজে প্রায় সোয়া ১১ টা। তিনি স্কুলের বাইরে থেকেই ভিতরে থাকা পড়ুয়াদের সাথে কথা বলেন।
স্কুলের বেশ কয়েকজন ছোট ছোট পড়ুয়া জানান, প্রায়ই শিক্ষকরা দেরি করে আসে আমরা আগে আসি।
জানা গিয়েছে, স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৭২ জন। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ জন স্কুলে আসে। অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে আসে না। স্কুলের শিক্ষকরা সময় মত না আসায় অভিভাবকরা অনেকেই বাধ্য হয়ে তাদের ছেলেমেয়েদের বেসরকারি স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে এই কর্মসূচি চলাকালীন সেখানে ছিলেন তৃণমূলের দিনহাটা এক বি ব্লক সভাপতি অনন্ত বর্মণ, অঞ্চল সভাপতি সুভাষ বর্মণ, পুটিমারি এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শাহানারা পারভিন, তৃণমূল নেতা বিশু রায়।
এ দিন বেলা সোয়া ১১ টার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ সরকার স্কুলে আসেন। এরপর একে একে অন্য শিক্ষকরা আসেন। তারপর পার্থপ্রতিম স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেন।
স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা এরপর তিনি স্কুলের বেশ কয়েকটি ক্লাসে গিয়ে ক্লাস নেন। এলাকার বাসিন্দাদের জিতেন্দ্রনাথ বর্মণ জানান, স্কুলের শিক্ষকরা প্রায়ই দেরিতে আসে। এলাকার ইস্কুলটি আগে ভালো থাকলেও এখন বর্তমান শিক্ষকদের জন্য অভিভাবকদের অনেকেই এই স্কুল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ছেলে মেয়েদের বেসরকারি স্কুলগুলিতে ভর্তি করাচ্ছে। স্কুলের শিক্ষকরা ঠিকমতো আসেন না বলে দিন দিন পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে।
আরও পড়ুন – অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মুকুট জিতে রেকর্ড গড়েছেন জকোভিচ
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ সরকার জানান, অন্যান্য দিন সঠিক সময় এলো এদিন বিডি অফিসে কাজ থাকার জন্য দেরি হয়েছে। তবে অন্যান্য শিক্ষকরা কেন আসেননি সেটা জানি না। অবশ্যই বিষয়টি দেখব। প্রধান শিক্ষকের সামনেই এদিন গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকে স্কুলের চারজন শিক্ষকের প্রায়ই দেরিতে আসার বিষয়টি তুলে ধরেন। সে সময় কার্যত অস্বস্তিতে পড়তে হয় প্রধান শিক্ষককেও।
পার্থপ্রতিম রায় জানান, দিদির দূত কর্মসূচিতে এ দিন পুটিমারি এক গ্রাম পঞ্চায়েতের বসগীরধাম এলাকায় স্কুলে এসে দেখি সোয়া এগারোটাতেও স্কুলে তালা। অথচ ছাত্রছাত্রীরা এসেছে। বিষয়টি এসআই অফ স্কুল এবং ডি আই কে জানিয়েছি। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করল। চার চার জন শিক্ষকের একসাথে অসুবিধা হতে পারে না। প্রয়োজনে জেলা শাসকের সাথে ও কথা বলব। গ্রামের মানুষরা যেটা অভিযোগ করেছে সেটা আজকে স্কুলে এসে বুঝতে পারলাম। শিক্ষা দফতর যাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয় সেটা দেখব। বের হয়ে