কৌস্তভ বাগচিকে ডাবের জল খাওয়াল তৃণমূল, কি বক্তব্য তৃণমূল নেতৃত্বের , শেষ লগ্নের প্রচার চলছে পঞ্চায়েতের। গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন রাজ্যস্তরের সব নেতারা। দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করছেন। শনিবার কংগ্রেস নেতা তথা মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি পঞ্চায়েতের প্রচারে গিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরে। হাতিহল্কা এলাকায় জেলা পরিষদ প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছিলেন তিনি। আর সেখানেই এক সৌজন্যের ছবি ধরা পড়ল। কংগ্রেস মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচিকে ডাবের জল খাওয়াল তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। ডাবের জল খাওয়ানো হল কংগ্রেস প্রার্থীকেও। ভোটের মুখে দিকে দিকে যখন শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ ও অশান্তির অভিযোগ উঠছে, সেই সময় পশ্চিম মেদিনীপুরের হাতিহল্কার এই দৃশ্য স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এই এলাকা শান্তিপ্রিয়। কোনও অশান্তি এখানে কোনওদিন হয়নি। কংগ্রেস বা যে কোনও দল আসুক, তারা নিজেদের বক্তব্য জানাবে। মানুষই ভোট দেবে। যদিও কৌস্তভকে ঘিরে কোনও বিক্ষোভ দেখানো হয়নি বলেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। অন্যদিকে কংগ্রেস শিবিরও এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য,এই সৌজন্যের বার্তা কংগ্রেস অনেক আগে থেকেই বাংলাকে শিখিয়েছে।
কেন কৌস্তভ বাগচিকে হঠাৎ ডাবের জল খাওয়াল তৃণমূল? বিষয়টি হল,আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পরিষদে কংগ্রেসের প্রার্থী মুনমুন ঘোষের হয়ে প্রচার করছিলেন তিনি।পথসভাও করছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানাচ্ছিলেন কৌস্তভ। বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করছিলেন।আর সেই সময়েই স্থানীয় তৃণমূলের কিছু কর্মী-সমর্থক সেখানে গিয়ে বিরোধিতা শুরু করে। উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস ও তৃণমূল সমর্থকরা। কিছুক্ষণ পরে সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় বটে।তবে পরে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ি সদস্য গনি ইসমাইল খান সেখানে পৌঁছে যান।
আরও পড়ুন – তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ করলেন BJP সাংসদ সৌমিত্র খাঁ
গনি ইসমাইল খান সেখানে গিয়ে কৌস্তভ বাগচির সঙ্গে কথা বলেন।তাঁকে ডাব খাওয়ান।কৌস্তভ যাতে ওই অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য কিছু মনে না করেন,সেটি বোঝানোর চেষ্টাও করেন।দুই পক্ষের কথাবার্তা শেষে উভয়ে উভয়ের সঙ্গে হাত মেলান।তারপ কৌস্তভ বাগচি নিজের গাড়িতে চেপে সেখান থেকে চলে যান। চারিদিকে অশান্তি ও গোলমালের মধ্যে এমন ঘটনা বেশ দৃষ্টিনন্দন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।