এর আগে এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন কখনও হয়নি ভাঙড়ের দায় বিরোধীদের উপরেই চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী, পঞ্চায়েতের মনোনয়ন-পর্বে রাজ্যে একাধিক হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে এলেও ‘এতটা শান্তিপূর্ণ অতীতে কখনও হয়নি’ বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রার শেষ দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের জনসভা থেকে কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপিকে একই বন্ধনীতে রেখেও আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আক্রমণের নিশানা থেকে বাদ পড়েনি আইএসএফ-ও। তবে সরাসরি নওশাদ সিদ্দিকি কিংবা তাঁর দলের নাম করেননি তিনি। শুক্রবার তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রার শেষ দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের জনসভা থেকে কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপিকে একই বন্ধনীতে রেখেও আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নিশানায় ছিল আইএসএফ-ও।
এই সূত্রেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, “দু’টো ঘটনা ঘটেছে, আর তার জন্য উঁচিয়ে বসে আছে কেন্দ্র। মণিপুরেও তো কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছে। কী হয়েছে সেখানে? মন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।” মনোনয়ন-পর্বের গোড়ার দিন থেকে রাজনৈতিক হিংসায় বার বার উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও ভাঙড়ের ঘটনায় তৃণমূলের জড়িত থাকার অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে তিনি বলেন, “ভাঙড়ের ঘটনা কিছু গুন্ডা করেছে। তৃণমূল করেনি।” সেখানকার একটি দল মানুষকে প্ররোচিত করেছে বলে অভিযোগ করলেও, নির্দিষ্ট কোনও দলের নাম করেননি মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন – ‘২ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করছে অভিষেক’, ছবি দেখিয়ে বললেন মমতা
সভার শুরুতেই মমতা জানিয়ে দেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয়, তৃণমূলের চেয়ারপার্সন হিসাবে বক্তব্য রাখতে এসেছেন। তারপরই পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, “২ লক্ষ ৩১ হাজার মনোনয়ন জমা পড়েছে। এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন এর আগে কখনও হয়নি।” এমনটা আর অন্য কোথাও হয়েছে কিনা, তা সমবেত জনতার কাছে জানতে চান তৃণমূলনেত্রী। ‘শান্তি’র দাবি জানানোর পাশাপাশি বাম আমলের অশান্তির প্রসঙ্গও টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রেও পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বাম আমলের দু’টি নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “২০০৩ সালে ৭০ জন মারা গিয়েছিল, ২০০৮ সালে মারা গিয়েছিল ৩৬ জন।”