আগামী পাঁচ বছরে বদলে যাবে দেশের হাল ! মোদি মন্ত্রিসভায় নেওয়া হল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আগামী পাঁচ বছরে বদলে যাবে দেশের হাল ! মোদি মন্ত্রিসভায় নেওয়া হল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। দেশে ২ লক্ষ সমবায় সমিতি গড়বে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি ‘ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রোগ্রামে’ সিলমোহর দিয়েছে ক্যাবিনেট।
বুধবার দেশের দশা বদলাতে দিশা ঠিক করতে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যেখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন,” সরকার সমবায় সমিতিগুলিকে শক্তিশালী করবে। সেই উদ্দেশ্যে আগামী পাঁচ বছরে দু-লক্ষ প্রাথমিক কৃষি সমবায় ঋণ সমিতি(পিএসি)/ ডেয়ারি/ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।”
আগামী দিনে যা লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশের মোট ১৯টি জেলার ২৯৬৬টি গ্রামে রাস্তা ও অন্যান্য পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। তবে বর্ডার এরিয়া ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম থেকে আলাদা হবে এই যোজনা। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান,এই প্রকল্পের পুরো খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই রাজ্যগুলির সীমান্তবর্তী গ্রামে কাজ পাবেন স্থানীয়রা। ফলে কাজের জন্য ভিন রাজ্যে যেতে হবে না তাঁদের।
এদিনই ভারত-চিন এলএসি সীমান্তে আইটিবিপি-র জন্য ৯৪০০ জন কর্মী সহ একটি অপারেশনাল বেস তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদির মন্ত্রিসভা। সাতটি নতুন ব্যাটালিয়ন গঠনের অনুমোদন দিয়েছে ক্যাবিনেট। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিশেষভাবে সক্ষমদের ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে চুক্তি (MOU)স্বাক্ষরের অনুমোদন দিয়েছে। এই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নে উদ্যোগ নেবে। এরফলে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার হবে।
আরও পড়ুন –রুমের ভিতর তালাবন্ধ করে মারধর হোটেল কর্মীর। বিলাসপুরে OYO হোটেলের ঘটনা
মোদি মন্ত্রিসভায় নতুন অনুমোদনের মধ্য়ে স্থান পেয়েছে সিঙ্কুলনা টানেল নির্মাণেরও বিষয়টি। একবার এই টানেল তৈরি হলে দুর্গম আবহাওয়াতেও লাদাখে যাওয়ার রাস্তা পাওয়া যাবে। সারা বছর থাকবে এই সংযোগ। এর সুরঙ্গের দৈর্ঘ্য হবে ৪.৮ কিলোমিটার। মোট ১,৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে এই নির্মাণে। এতে সামরিক বাহিনীর আরও সুবিধা হবে। দ্রুত সীমান্তে যাতায়াত করতে পারবে তারা।
এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, দেশের সীমানা শক্তিশালী করতে ‘ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম’কে মোদি সরকার অনুমোদন দিয়েছে। এর আওতায় দেশের উত্তর সীমান্তে অবস্থিত গ্রামগুলিতে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। এর জন্য ৪,৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।