ফ্রান্সের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ৪০ বছরের সম্পর্ক! ফাঁস ‘৮১ সালের পরিচয়পত্র, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে, গত কয়েক বছরে ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের অংশিদারিত্ব ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিরক্ষা থেকে বাণিজ্য – বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠছে। তবে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক প্রায় চার দশকের পুরনো। বৃহস্পতিবারই (১৩ জুলাই), দুই দিনের সফরে ফ্রান্সের প্যারিসে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সফরের প্রথমদিনই সেখানে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। প্রবাসীদের সামনে ভাষণ দিতে গিয়েই ফ্রান্সের সঙ্গে তাঁর এই পুরোনো সম্পর্কের কথা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে ভারতের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে আহমেদাবাদের ‘অ্যালিয়াঁস ফঁসে’র সদস্যপদ গ্রহণ করেছিলেন। গোটা বিশ্বেই ফরাসী ভাষা ও সংস্কৃতির প্রচার করে থাকে ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ‘অ্যালিয়াঁস ফঁসে’।
১৪ জুলাই ফ্রান্সের জাতীয় দিবস। ফরাসি বিপ্লবের সময় এই দিনেই ধ্বংস হয়েছিল বাস্তিল দুর্গ। ফ্রান্সের জাতীয় দিবসের আগে সেই দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনিই এই অনুষ্ঠানের মূল অতিথি। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ফ্রান্সকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।ফ্রান্সের জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজে যোগ দিতে পারার সুযোগ পাওয়ায়,এই সফর তাঁর কাছে বিশেষ সম্মানের বলে জানিয়েছে তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বেশ কয়েকবার ফ্রান্সে এসেছি।কিন্তু,আমার এবারের সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।আগামীকাল ফ্রান্সের জাতীয় দিবস। আমি ফ্রান্সের জনগণকে অভিনন্দন জানাই।আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তাঁদের ধন্যবাদ।বন্ধু ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর সঙ্গে আগামীকাল জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেব।এটা ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে অটুট বন্ধুত্বের প্রতিফলন।”
আরও পড়ুন – ভারতীয় ভিসা আবেদনের নিয়মে বড় বদল, ভারতে আসার জন্য ভিসার ক্ষেত্রে কী…
প্যারিসের ‘লা সেইন মিউজিকাল’প্রেক্ষাগৃহে,ফ্রান্সে বসবাসকারী ভারতীয়দের সামনে বক্তৃতাদিতে গিয়ে,প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে ফ্রান্সের প্রতি আমার ভালবাসা দীর্ঘদিনের।প্রায় ৪০ বছর আগে গুজরাটের আহমেদাবাদে ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ‘অ্যালিয়াঁস ফঁসে’র যাত্রা শুরু হয়েছিল।আজ সেই সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রথম ভারতীয় সদস্য আপনাদের সামনে বক্তৃতা দিচ্ছেন।কয়েক বছর আগে,ফরাসি সরকার আমাকে সেই পরিচয়পত্রের একটি ফটোকপি দিয়েছিল।আমার কাছে এটি আজও মূল্যবান।”প্রধানমন্ত্রী তাঁর আলিয়াঁস ফঁসের সদস্যপদ গ্রহণের কাহিনি জানানোর পরই,ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সেই পরিচয়পত্রের একটি ছবি প্রকাশ করেছে।তাতে দেখা যাচ্ছে, পরিচয়পত্রটি ১৯৮১ সালের ৫ ডিসেম্বরের।১২৫ টাকা দিয়ে সদস্যপদ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।