‘বাড়ি বাড়ি যান, সঙ্গে একটা ডায়েরি রাখুন…’ বিজেপি কর্মীদের টোটকা মোদীর ,ভিডিয়ো কনফারেন্সে বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর। আর দিন কয়েক বাদেই কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন (Karnataka Assembly Election 2023)। তার আগেই ভোটের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্নাটকে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “কর্নাটকের মানুষের রাজ্য বিজেপির উপরে বিপুল আস্থা রয়েছে। বিজেপি নেতারা যেখানেই প্রচারে যাচ্ছেন, সেখানেই এই জনসমর্থনের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে বিজেপি রেকর্ড সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হবে।”
আগামী ১০ মে কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের ফল প্রকাশ হবে আগামী ১৩ মে। ইতিমধ্য়েই বিজেপি-কংগ্রেস সহ রাজনৈতিক দলগুলির তরফে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে শেষ পর্যায়ের প্রচার চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। দিন কয়েক আগেই নির্বাচনী প্রচারে ও একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনে কর্নাটকে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটের আগে বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এ দিন ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্য়মে কথা বলেন নমো।
কর্নাটকের মানুষদের আশির্বাদ নেওয়ার জন্য আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কর্নাটকে যাবেন বলেও বিজেপি কর্মীদের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, বিজেপি কর্মীরা রাজ্যে যখনই প্রচার চালাতে গিয়েছেন, তখনই তাঁরা সাধারণ মানুষের ভালবাসা পেয়েছেন। এতে বোঝা যায় সাধারণ মানুষ বিজেপির উপরে কতটা আস্থা রেখেছেন।
কীভাবে নির্বাচনী প্রচার চালালে জনগণের মনে স্থান করে নেওয়া যাবে, এই প্রশ্ন করেন এক বিজেপি নেতা। জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “১০ জন মহিলা ও ১০ জন পুরুষ কর্মীদের নিয়ে একটি শক্তিশালী দল গঠন করুন। আপনারা বাড়ি বাড়ি যান এবং ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রচার করুন। আপনারা নিজেদের সঙ্গে একটা ডায়েরি রাখুন, সেখানে যাবতীয় তথ্য লিখে রাখুন যাতে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে সুবিধা হয়। প্রত্য়েকটা বাড়িতে কমপক্ষে ১ ঘণ্টা করে সময় কাটান। প্রবীণদের আশির্বাদ নিন।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, “যদি আপনারা ট্রাক্টরে মারুতি গাড়ির চাকা লাগান, তাহলে কী তা কাজ করবে? না। ডবল ই়ঞ্জিন সরকারের মতো একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা থাকলেই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। এই ছোট ছোট বিষয়গুলি সাধারণ মানুষকে বোঝান। আপনাদের লম্বা বক্তৃতা দিতে হবে না। সেটা অন্যদের কাজ। আমি এই ছোট ছোট বিষয়গুলি নিয়েই বলি যাতে আপনারা ভোটারদের এই তথ্যগুলি জানাতে পারেন।”
আরও পড়ুন – সাড়ে ৫ ঘণ্টায় হাওড়া থেকে পুরী! ট্রায়াল রান ‘বন্দে ভারতে’র
কংগ্রেস বিনামূল্যে বিতরণে বিশ্বাসী, এই আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি খুশি যে দক্ষিণ ভারতের মানুষেরাও এখন রেভরি শব্দটা বুঝতে শিখেছেন। কয়েকটি রাজনৈতিক দল, যাদের জনকল্যাণ নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই, তারা এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। এভাবে সরকার চলে না। একটা সরকার আজ ও আগামিকালের কথা ভেবেই শুধু চলতে পারে না। তাদের আগামী প্রজন্মের কথাও ভাবতে হয়।”