বিয়ের দাবিতে সিভিক পুলিশের (police) বাড়ির সামনে ধর্ণা প্রেমিকার

বিয়ের দাবিতে সিভিক পুলিশের (police) বাড়ির সামনে ধর্ণা প্রেমিকার

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
police
বিয়ের দাবিতে সিভিক পুলিশের ( police ) বাড়ির সামনে ধর্ণা প্রেমিকার
ছবি সংগ্রহে সাইন টিভি

কালিয়াগঞ্জ থানায় কর্মরত এক সিভিকের( police ) বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছে গঙ্গারামপুরে এক মহিলা সিভিক। মঙ্গলবার এই ঘটনায় শোরগোল পরে যায় উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের বরুনা পঞ্চায়েতের দিলালপুর গ্রামে। দক্ষিন দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের তিলনা বুড়িনগর গ্রামের যুবতী বিমলা ( police ) দেবশর্মার অভিযোগ, তার সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক তৈরি করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দিলালপুর গ্রামের যুবক শ্যামাপদ সরকার।

 

গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কালিয়াগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মেলামেশা করেছিল শ্যামাপদ। এরপর হটাৎ খবর পাই অন্য এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ের রেজিস্ট্রি করেছে শ্যামাপদ। ঘনিষ্ঠ ভাবে মেলামেশার পর একতরফা ভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে বিয়ের দাবি নিয়ে শ্যামাপদর ( police ) বাড়ির সামনে ধর্না দিতে বাধ্য হয়েছি, বলছেন বিমলা।

 

এদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের কাছে বিমলা জানায়, গত ফাল্গুন মাসে তার সঙ্গে শ্যামাপদর বিয়ের জন্য দুই পরিবারের মধ্যে দেখাশুনা হয়েছিল। এরপর বিয়ের কথাবার্তা বেশিদূর এগোয়নি। এই দেখাশোনা পর্ব থেকে তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল শ্যামাপদর। ফোনের মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক গভীরতা পায়। কালিয়াগঞ্জে শ্যামাপদর বাড়ির পাশের গ্রামেই তার মামার বাড়ি, পিসির বাড়ি।

 

শ্যামাপদর সঙ্গে দেখা করতে সে মাঝে মাঝেই কালিয়াগঞ্জে এই আত্মীয়দের বাড়িতে আসতো। শ্যামাপদ তার সঙ্গে দেখা করতে গঙ্গারামপুরে যেত। তাদের মেলামেশার কথা উভয় পরিবার ভালোমতোই জানে। গত সপ্তাহে কালিয়াগঞ্জে আত্মীয় বাড়িতে আসার পর দুদিন তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবেই মেলামেশা করে শ্যামাপদ। ফতেপুর শালবাগানে তাকে বেড়াতে নিয়ে গেছিল। এরপর হটাৎ জানতে পারি অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেছে শ্যামাপদ।

এই কথা শুনে সোমবার দুপুরে শ্যামাপদর সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে ছুটে আসি। কিন্তু শ্যামাপদ সামনে আসেনি। গতকাল রাতে শ্যামাপদর বাড়ির লোকজন জোর করে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমি শ্যামাপদকে ভালবাসি, তাকে বিয়ে করে সংসার করতে চাই, তাই এদিন সকালে আবার এসেছি। শ্যামাপদর বাড়ির লোকজন তাকে টানাহ্যাঁচড়া করে ভাগিয়ে দেবার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ বিমলার। অপরদিকে শ্যামাপদর বাবা অভিরাম সরকারের দাবি বিয়ের জন্য পাত্রী হিসেবে বিমলাকে দেখতে গিয়েছিলেন এটা সত্যি। তাদের পছন্দ ছিল, কিন্তু শ্যামাপদর পছন্দ হয়নি পাত্রী। তাই এই সম্পর্ক নিয়ে কথাবার্তা বেশিদূর এগোয়নি। শ্যামাপদর সঙ্গে মেলামেশার যে দাবি করছে বিমলা, তা সত্যি নয় বলে দাবি অভিরাম সরকারের।

 

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top