সদ্যোজাত শিশু চুরি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিনারা করল পুলিশ পাচারকারী সহ গ্রেপ্তার তিন। এ যেন সিনেমার থ্রিলার হার মানবে, বেসরকারি নার্সিংহোমে হওয়া শিশু পুত্র ১৪ দিনের মাথায় বাড়িতে ফেরার পর তিন দিনের মধ্যে সদ্যজাত শিশু পুত্র চুরি করল আয়া। নিয়ে যায় সোজা নদীয়ার তেহট্ট এলাকায়।
উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানার সাংবেরিয়া গ্রামের ঘটনা গৃহবধূ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে বেড়া বেড়াচাপার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিল। গত ১৪ দিন আগে সেখানে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। তার দেখভাল করতে আসে ওই নার্সিংহোমে আয়া সেখান থেকে সদ্য যাতে শিশু পুত্রের মা-বাবার সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপর সেই সূত্রে যাতে ওই শিশু পুত্রের দেখভাল করতে পারে তার জন্য আকুল আবেদন করেন আয়া। সেই কথামতো শিশু পুত্রের মা-বাবা ওই আয়া কে বাড়িতে নিয়ে আসে,। ঠিক ২৪ ঘন্টার মধ্যে অর্থাৎ গতকাল শনিবার রাত্রি ১১ টা নাগাদ।
এই সদ্যোজাত শিশুকে চুরি করে নিয়ে যায়, নদীয়ার তেহট্ট গ্রামে।, এরপর ওই শিশু পুত্রের বাবা-মা আয়য়ার বিরুদ্ধে শিশু চুরির অভিযোগ বাদুড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বাদুড়িয়ার এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র বাদুড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সিদ্ধান্ত মন্ডল এর নেতৃত্বে একটা বিশেষ পুলিশের মোবাইল টিম তৈরি করে সেখান থেকে অপারেশন শুরু হয়। প্রথমে ওই আই আয়ার ফোন নাম্বার মোবাইল ট্র্যাক করা হয়। জানা যায় তার গন্তব্যস্থল নদীয়াতে। সেখানে গিয়ে নদীয়া থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে যৌথভাবে শিশু চুরির মূল পান্ডা আয়া আর এক সাগরেদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
জেরাই স্বীকার করেছে ওই শিশু পুত্রকে তারা চুরি করে মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার ফন্দি এটে ছিল। এসেছিল বিক্রি করার পরিকল্পনা নিয়েছিল ধূত তিন শিশু দুই পাচারকারীকে আজ বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তাদেরকে ১০ দিনে পুলিশে হেফাজতের নেয়ার আবেদন জানিয়েছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। প্রশ্ন হচ্ছে এই শিশু চুরির আয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক শিশু পাচার চক্রের যোগসূত্র আছে এর সঙ্গে বড় মাথার মূল পান্ডা কেউ আছে কিনা সেটাও তদন্তকারীর একবার দেখে নিতে চাইছে।