টাকার ভাগ নিয়ে বচসা থেকে খুন? দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন হরিদেবপুরের মৃত তরুণী!দোলের দিন সকালে হরিদেবপুরে পাওয়া গিয়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর দেহ। পরে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই তরুণী নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে ডালিয়া চক্রবর্তী নামের ওই তরুণীকে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার সকালে অরুণাভ পাত্র এবং অর্জুন দাস নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মৃতার স্বামী রাহুল চক্রবর্তী অবশ্য আগেই অরুণাভ-সহ আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, হরিদেবপুর এলাকার একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে অরুণাভর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ডালিয়া। সেখানেই তাঁদের মধ্যে বচসা হয়। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ডালিয়াকে। পুলিশ মনে করছে, ডালিয়ার দেহকে সরানোর উদ্দেশেই অর্জুনকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন অরুণাভ। ঘটনাচক্রে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, শ্বাসরোধ হওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ডালিয়ার। তবে সব দিক খতিয়ে দেখে তবেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ।
আরও পড়ুন – বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণের গাড়িতে অবস্থান নির্ণয় যন্ত্র বসানোর মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশিকা…
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে নেমে তারা জানতে পেরেছে ডালিয়া ‘এসকর্ট সার্ভিসে’র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দেহব্যবসায় ক্রমশ জড়িয়ে পড়ার পর তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় অরুণাভর। প্রথমে একটি ‘সিকিয়োরিটি এজেন্সি’তে কাজ করা অরুণাভ ডালিয়ার এজেন্ট হিসাবে কাজ করতেন। পুলিশের অনুমান, অর্থের ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে বচসার জেরেই ডালিয়াকে খুন করেছেন অরুণাভ। সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ নরেন্দ্রপুরের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ডালিয়া। তারপর সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ লাইভ লোকেশনের মাধ্যমে শেষ বারের মতো ডালিয়ার অবস্থান জানতে পারেন তাঁর স্বামী রাহুল।