ট্রেনে করে এসে ‘খুন’,১২ ঘণ্টায় লেকটাউনের দমকলকর্মী খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার লেকটাউনের গ্রিন পার্ক এলাকার সারদা পল্লী এলাকাতে এক দমকলকর্মী স্নেহাশিস রায়কে গুলি করে খুন করা হয়। ১২ ঘণ্টার মধ্যে খুনের কিনারা। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে ওই দুই দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ব্যারাকপুর অঞ্চল থেকে ওই দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, ‘এই খুনের ঘটনায় এখনও অবধি দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা আমাদের কাছে অপরাধ স্বীকার করেছে। এদের সকলেই ব্যারাকপুর এলাকার বাসিন্দা। আরও কয়েকজনের নাম তদন্তে উঠে এসেছে, কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। জেরা ধৃতরা জানিয়েছে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই খুন। তবে প্রমাণ হাতে না পেলে নিশ্চিত করে আমরা কিছু বলতে পারব না। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। যে গুলি চালিয়েছিল, সে আমাদের হেফাজতেই রয়েছে। বাকি তথ্য প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারা এই দুষ্কৃতীদের ভাড়া করেছিল, সেই নাম ও আমরা পেয়েছি। তাদের গ্রেফতার করলে খুনের কারণ হয়তো আরও স্পষ্ট হবে।
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘জেরা উঠে আসা সব তথ্য এখন প্রকাশ করলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধাদের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনা পিছনে মূলচক্রী দু’জন। ঘটনার সময় একজন সেখানেই ছিল। দুষ্কৃতীরা মূলত ট্রেনে করেই এসেছিল। তারপর অন্য গণপরিবহণ ব্যবহার করে। তদন্ত এগনোর সঙ্গে সঙ্গে বাকি তথ্য প্রকাশ করা হবে। ব্যক্তিগত আক্রোশেই এই খুন, প্রাথমিক তদন্তে এটাই জানাই গিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার লেকটাউনে এই মর্মান্তিক খুনের ঘটনা ঘটে। মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে ফেরার পর, ঠিক বাড়ির সামনেই ওই দমকলকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এরপরে তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এর আগেও একবার ওই দমকলকর্মীর উপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। তদন্তে এখন কী উঠে আসে, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন – লেকটাউনে প্রকাশ্যে খুন, দমদম ফায়ার স্টেশনের সামনে লক্ষ্য করে গুলি,
শুক্রবার সকালে ধৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে লেকটাউন থানায় পৌঁছন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা। তিনি জানান, জেরার মুখে ধৃতরা খুনের কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনার পিছনে আর কারা জড়িত এবং খুনের কারণ কী তাও জানতে পেরেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গুলি চালনার ঘটনার সময় এই খুনের মূলচক্রী একজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। দুষ্কৃতীরা সকলে ট্রেন করে এসেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটও তদন্তে সাহায্য করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।