এবার রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল বাতিল করা নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ (High Court cancel state panel)।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গির মদ্ধ্যে রাজ্য জুড়ে নয়া আতঙ্গ ‘কোভিডেঙ্গি’
২০১৯ সালে রাজ্য পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজ্য সরকার। পরীক্ষার পর ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ৪০২ জনের একটি প্যানেল প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড । মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক গরমিল হয়েছে। স্টেট ট্রাইব্যুনাল আদালতে এই অভিযোগ জানিয়ে মামলা দায়ের করেন তাঁরা।
এরপরই রাজ্যের তালিকা খারিজ করে ট্রাইব্যুনালের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, যারা সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থী নয় তাদের জন্য আলাদা তালিকা বানাতে হবে চার সপ্তাহের মধ্যে। সংরক্ষিত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের অভিযোগ, কিছু পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পেলেও ইন্টারভিউতে প্রচুর নম্বর পেয়েছে।
ইন্টারভিউতে গিয়ে তাদের দক্ষতা হঠাৎ করে কীভাবে বেড়ে গেল, এই বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা। অভিযোগ, এরপরই সবদিক খতিয়ে না দেখে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল খারিজ করার নির্দেশ দেয় স্টেট ট্রাইবুনাল।
রাজ্য ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মতো রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড নতুন তালিকা প্রকাশ করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। যেখানে পুরনো তালিকার ১৩৭ জনকে বাদ দেওয়া হয় নতুন তালিকায়। পাশাপাশি আরও ২১৭ জন চাকরিতে যোগ দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলে জানান রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।
এদিন প্রধান বিচারপতির টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্রাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড যে প্যানেল প্রকাশ করেছিল সেটাই অপরিবর্তিত থাকবে। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ খারিজ (High Court cancel state panel) করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের ফলে যেহেতু নিয়োগ স্থগিত হয়েছিল তাই বয়সের বর্ধিত সীমার নিরিখে নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি যে ১৭০ জনকে ইতিমধ্যে নিয়োগ করেছিল রাজ্য তাদের চাকরি বাতিল না করে অন্যত্র চাকরিতে নিযুক্ত করতে সুপারিশ হাইকোর্টের।