দিদির সুরক্ষা কবজ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন হুগলিতে। শনিবার হুগলির কামার কুন্ডু তে সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্র এবং হরিপাল বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যথাক্রমে বেচারাম মান্না এবং ডক্টর করবি মান্না দিদির সুরক্ষা কবজ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য যে সমস্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি রূপায়িত করেছেন সেগুলি সাধারণ মানুষের মধ্যে যাতে আরও নিবিড়ভাবে পৌঁছে যায় তার জন্য তৃণমূলের কর্মীরা দিদির দূত হিসেবে তারা বিভিন্ন গ্রামের পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সুখ-দুঃখের কথা যেমন শুনবেন তার সঙ্গে সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে স্বপ্নের প্রকল্প গুলি চালু আছে সেগুলির কতটা তার সুবিধা পাচ্ছেন সে বিষয়টাও তাদের কাছ থেকে জানবেন।
এই সুরক্ষা কবজ প্রচারকার্য মূলত দুটি কর্মসূচি থাকবে প্রথমটি হলো অঞ্চলে একদিন/ নগরে একদিন যেখানে দলের রাজ্যস্তরের নেতৃত্ব প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত/ নগর পরিদর্শন করবেন এবং সেখানে একটি দিন কাটাবেন। তারা বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ নেবেন প্রথমে তারা যেখানে যাবেন সেখানকার কোন ধর্মীয় স্থান সে মন্দির হোক গুরুদুয়ারা হোক মসজিদ হোক ঈদগাহ হোক সেখানে গিয়ে তারা প্রার্থনা করবেন। তারপর তারা বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি পরিদর্শন করবেন, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে মধ্যাহ্ন সারবেন। পঞ্চায়েত সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং সর্বশেষে নেতারা স্থানীয় দলীয় কর্মীদের বাড়িতে রাত কাটাবেন নৈশ ভোজ সারবেন।
সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং হরিপাল বিধানসভা কেন্দ্রের ডঃ কর্মী মান্না জানান বঙ্গবাসীর কাছে দিদির দূতেরা মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি চিঠি দিদির সুরক্ষা কবজের দেওয়ালে ক্যালেন্ডার এবং দরজার লাগানোর জন্য স্টিকার হস্তান্তর করবেন, এবং দিদির দূতেরা সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া নেবেন এবং অভিযোগ যদি কিছু থাকে সেটা রেকর্ড করবেন।
আরও পড়ুন – ফাঁক বুঝে ভরা এজলাস থেকে ফাঁক গলে পালাল আসামী
এই সুরক্ষা কবচের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে মানুষ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প গুলি কতটা রূপায়িত হচ্ছে সে সম্বন্ধে জানতে পারবেন, এবং সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত যাতে দিদির সুরক্ষা কর্মসূচি পৌঁছে যায় তার জন্য অক্লান্ত হবে চেষ্টা করবেন কর্মীরা। সাংবাদিক সম্মেলনে বেচারাম মান্না জানান যে সিঙ্গুর এমন একটা জায়গা, যে জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন হয়েছিল তা আজকে সারা বাংলার কাছে সারা ভারতবর্ষের কাছে দৃষ্টান্ত স্বরূপ। তাই সিঙ্গুর এবং হরিপালের মানুষ দিদির পাশে আছেন এবং আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সিঙ্গুর এবং হরিপালের সমস্ত মানুষ দিদির প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানাবেন।