এবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে চিঠি দিলেন প্রেস সংগঠনগুলি। বিজেপির সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠল। সেই ভিত্তিতে প্রেস ক্লাব, মহিলা প্রেস ক্লাব এবং ডিজি পাব নিউজ ইন্ডিয়া সংগঠন যৌথ ভাবে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি পাঠান। অভিযোগ, সাংবাদিকদের প্রতিবেদন সরকারের পছন্দ না হলে তাঁদের অপরাধের মামলায় জড়িয়ে দেওয়া আসলে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের মন্ত্রীর
সাংবাদিকদের সংগঠনের তরফে প্রধান বিচারপতিকে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে আপনার মেয়াদেই দেখেছেন যে কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের হেনস্তা করা হচ্ছে। দেশদ্রোহিতা এমনকি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হচ্ছে, সম্পাদক ও রিপোর্টারদের বিরুদ্ধে। সাংবাদিকদের হেনস্তা করার জন্য মিথ্যা মামলা সাজানো হচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের একাংশ সাংবাদিক এখন হুমকি ও প্রতিশোধের হুঁশিয়ারির মুখে কাজ করছেন। তাই বিচারব্যবস্থারই দায়িত্ব ক্ষমতাসীনদের এ বিষয়ে কৈফিয়ত চাওয়া। কারণ এ ক্ষেত্রে একটাই মৌলিক সত্য। তা হল দেশের সংবিধানের কাছে সবাই দায়বদ্ধ। প্রেস সংগঠনের বক্তব্য, ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিবেদন সরকারের পছন্দ না হলে তাঁদের অপরাধের মামলায় জড়িয়ে দেওয়া আসলে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা। এই প্রতিশোধ স্পৃহা স্বাধীনতার বিরুদ্ধেই আঘাত।
দুদিন আগে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম নিউজ ক্লিকের দফতরে হানা দিয়েছিলেন দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসাররা। সেই সঙ্গে ওই সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। প্রবীণ সাংবাদিকদের তুলে আনা হয় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসে। প্রসঙ্গত, দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে। ওই তল্লাশি অভিযানের পর নিউজ ক্লিকের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
সাংবাদিকদের সংগঠনের তরফে প্রধান বিচারপতিকে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে আপনার মেয়াদেই দেখেছেন যে কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের হেনস্তা করা হচ্ছে। দেশদ্রোহিতা এমনকি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হচ্ছে, সম্পাদক ও রিপোর্টারদের বিরুদ্ধে। সাংবাদিকদের হেনস্তা করার জন্য মিথ্যা মামলা সাজানো হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে সাংবাদিক সংগঠনের বক্তব্য, কেউই আইনকে এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলছে না। সঙ্গত তদন্তের পক্ষে সাংবাদিকরাও। কিন্তু তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ল্যাপটপ, মোবাইল তুলে নিয়ে আসা, তাঁদের প্রকারান্তরে হুমকি দেওয়া মোটেই কাম্য নয়।