
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুরষ্কার প্রাপ্ত চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল নানা সমস্যায় (Problems) জর্জরিত হয়ে রয়েছে।চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের অভাব এবং চিকিৎসা কর্মীর অভাব রয়েছে। প্রসূতি বিভাগ সহ অন্যান্য বিভাগের অবস্থা তেমন ভালো নেই।এর জন্য মানুষের সমস্যা (Problems) হচ্ছে। অল্পতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রেফার করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।এমনই করুণ অবস্থা চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের। হাসপাতালে এমন অবস্থা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন চন্দ্রকোনার বিএম ও এইচ।
তিনি বলেন ,গ্রামীণ হাসপাতাল এর পক্ষে জটিল চিকিৎসা করার মত পরিকাঠামো আমাদের এখনো পর্যন্ত নেই।সবচেয়ে বেশি সমস্যা (Problems) প্রসূতি বিভাগকে নিয়ে ।একে তো প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের অভাব তারপর পরিকাঠামো সেইভাবে নেই। ফলে আমাদের বাধ্য হয়েই রোগীকে রেফার করতে হয় অন্যত্র।তবে নতুন চিকিৎসক এলে হয়তো এই অবস্থার সমাপ্তি ঘটবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ হাসপাতালটিতে বেডের সংখ্যা ৬০, জেনারেল ফিজিশিয়ান রয়েছেন ২জন এবং ১জন বি এম ও এইচ যিনি অবশ্য পুরো প্রসূতি বিভাগটাই একা হাতে সামলান। এই বি এম ও এইচ কিছুদিনের মধ্যেই অবসর নেবেন। এর পরে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা ভেবেই চিন্তার ভাঁজ এলাকার মানুষের কপালে।
আর ও পড়ুন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলায় ওসামা বিন লাদেনকে (Osama bin Laden) নির্দোষ ঘোষণা করলো তালিবানরা
যদিও এই হাসপাতালের ঝুলিতে রয়েছে বিগত দিনে একাধিক পুরস্কার। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে প্রথম কোন গ্রামীন হাসপাতালের একজন এইচআইভি আক্রান্ত প্রসূতি মায়ের প্রসব করানো হয় এই হাসপাতালেই। একজন স্থানীয় বাসিন্দা রথিন দাস বলেন আগে এখানে অনেক প্রসূতির চিকিৎসাই হয়েছে। কিন্তু এখন ডাক্তারবাবুরা পরিকাঠামো নেই বলে রেফার করে দেন।
সেক্ষেত্রে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের।অনেক সময় জেলা হাসপাতালে যাওয়ার পথেই প্রসব হয়েছে এমন ঘটনাও ঘটেছে। দ্রুত এই হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা ঠিক না হয় তাহলে আমাদের আরো বিপদের মধ্যে পড়তে হবে।