মুম্বইয়ে ১৪৪ ধারা জারি। নিষিদ্ধ মিটিং-মিছিল। দেশে এ পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩২। এছাড়াও দেশে এ পর্যন্ত সর্বাধিক করোনা সংক্রমণ হয়েছে মহারাষ্ট্রে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রাজ্যটি। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যাতেও বাকি রাজ্যগুলোকে ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে মহারাষ্ট্র। এর মধ্যে ১৭টি কেস মহারাষ্ট্রের। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মুম্বইয়ে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন।
শনিবার এবং রবিবার মুম্বই কমিশনারেট অঞ্চলের মধ্যে কোনও জমায়েত করা যাবে না। চলবে না কোনও পদযাত্রা কিংবা প্রতিবাদ সভা। এ ছাড়া সমাবেশ, মিছিল ও মোর্চাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আদেশ অমান্য করলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা এবং অন্যান্য আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনের ১৭ টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। চলতি মাসের ফেব্রুয়ারিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে মহারাষ্ট্রেই প্রথমে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়ছিল। তারপরেই গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
আর ও পড়ুন বিপিন রাওয়াতের দেহ শায়িত মর্গে, আজ শেষ শ্রদ্ধা
সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার, মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনের ৭টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মুম্বাইতে এবং ৪টি মামলা পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় পৌর কর্পোরেশনে পাওয়া গেছে। মুম্বাইয়ে সংক্রমিত রোগীদের বয়স ৪৮, ২৫ এবং ৩৭ বছর। এই তিন নাগরিক তানজানিয়া, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ থেকে এসেছিলেন। যেখানে পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ে আক্রান্ত ৪ জন নাইজেরিয়া থেকে এসেছিলেন। এর আগে শুক্রবার, গুজরাটের জামনগরে ওমিক্রন দ্বারা সংক্রামিত দুটি মামলা পাওয়া গেছে।
এখানে প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তির স্ত্রী ও শ্যালকের রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে ভারতে আসেন এই ব্যক্তি। মাত্র কয়েকদিন আগে এর রিপোর্ট ওমিক্রন পজিটিভ আসে। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনের ১৭টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। ভারত করোনা নয়া এই ভ্যারিয়েন্টে ৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সর্বাধিক ১৭টি মামলা মহারাষ্ট্রে, ৯টি রাজস্থানে, ৩টি গুজরাটে, ১টি দিল্লিতে এবং ২টি কর্ণাটকে পাওয়া গেছে। এটা স্বস্তির বিষয় যে রাজস্থানে ৯ জনেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। মহারাষ্ট্রের পুনেতেও রোগীর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অন্যদিকে, কর্ণাটক থেকে একজন ওমিকন রোগী দুবাই চলে গেছেন।