অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইডি হেফাজতে রাখতে আইনি সিলমোহর

অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইডি হেফাজতে রাখতে আইনি সিলমোহর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইডি হেফাজতে রাখতে আইনি সিলমোহর,এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাদের চার্জশিটে আগেই অনুব্রত মণ্ডল,তাঁর প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল এবং মেয়ে সুকন্যার নামে-বেনামে থাকা ২৫টি অ্যাকাউন্ট নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার কথা লিখেছিল।এ বার তাতে আইনি সিলমোহর মিলল।ইডির এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যেতে পারেন অনুব্রত।সে ক্ষেত্রে তাঁকে ৪৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

 

 

 

 

 

 

 

আইনজীবীদের মতে,অভিযুক্তের অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার কারণ,যাতে তা হস্তান্তর না করা যায়।সেই সম্পত্তি থেকে অভিযুক্ত কোনও আর্থিক লাভ না পায়। অনেক ক্ষেত্রে কারখানা,হোটেলের মতো সম্পত্তি তদন্তকারী সংস্থা বাজেয়াপ্ত করার পরেও বন্ধ করা হয় না।কিন্তু সেই সম্পত্তির লভ্যাংশ অভিযুক্তও পান না।তা জমা হয় সরকারের কাছে।কারণ অভিযুক্ত যত ক্ষণ না পর্যন্ত আদালতে দোষী প্রমাণিত হচ্ছেন তত দিন সেই সম্পত্তি সরকার নিতে পারে না।এ ক্ষেত্রেও অনুব্রত এবং মণীশের ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকার সুদ থেকে শুরু করে সম্পত্তির লভ্যাংশ অনুব্রত বা তাঁর পরিবারের কেউ পাবেন না।

 

 

 

 

 

গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রতের ওই অ্যাকাউন্টগুলি নিজেদের হেফাজতে নিতে গত ৩ মে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি।বুধবার তাতে আইনি সম্মতি মিলেছে।তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আইনি সম্মতি মেলার ফলে মোট ১১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি ইডির হেফাজতে গেল।এর মধ্যে রয়েছে অনুব্রত,তাঁর পরিবারের সদস্য এবং বিভিন্ন সংস্থা মিলিয়ে মোট ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।এ ছাড়া স্ত্রী এবং মেয়ের নামে থাকা বেশ কয়েকটি জমি, চালকলও এখন ইডির দখলে।বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় যে দোতলা বাড়িতে অনুব্রত থাকতেন সেটা পৈতৃক সম্পত্তি।ফলে তা ইডির হেফাজতে নেই বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। কেষ্ট এবং তাঁর পরিবারের চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারির মোট ২৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তিও ইডির দখলে চলে গেল।

 

 

 

 

আরও পড়ুন –  এবার ত্রিপুরা টু বাংলাদেশ আকাশপথেও! আন্তর্জাতিক হচ্ছে আগরতলা বিমানবন্দর ,চলবে স্পাইসজেট

 

 

অনুব্রত এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা এই মুহূর্তে রয়েছেন দিল্লির তিহাড় জেলে।এ ছাড়া বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার,এনামুল হক, কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনও রয়েছেন ওই জেলে আছে। গত ১১ মে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে ভোলে ব্যোম চালকলের দু’টি অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার আবেদনও করেছিলেন অনুব্রত। বিচারক অবশ্য কেষ্টকে জানিয়ে দেন আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আবেদন করতে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top