পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রণামী বাক্স লুঠ! নগদ টাকা-গয়না হাতিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীরা,পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে নিরাপত্তায় বড়সড় গলদ। লুঠ হয়ে গেল মন্দিরের প্রণামী বাক্স। ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে জগন্নাথধামে।এভাবে জগন্নাথদেবের প্রণামী বাক্স লুঠ হওয়ার ঘটনায় অশুভ ইঙ্গিত দেখছেন অধিকাংশ ভক্ত। কিছুদিন আগেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অনলাইন দর্শনের জন্য ডোনেশনের নাম করে একাধিক প্রতারনা চক্রের হদিশ পায় মন্দির কমিটি।ভক্তদের থেকে অনলাইন দর্শনে প্রণামীর নাম করে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতারকরা।একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়ে এই নিয়ে অবশেষে জানায় জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
একটি অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়,শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কোনওভাবেই অনলাইনে দর্শনের জন্য কোনও দান কিংবা অর্থ গ্রহণ করে না।অনলাইন পুজো কিংবা অনলাইনে জগন্নাথদেবের দর্শনের সুযোগ বিনামূল্যেই পান ভক্তরা।এই ধরণের প্রতারকদের থেকে সতর্ক থাকার বার্তা দেন পুরীর মন্দির কমিটির মুখ্য প্রশাসক।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতের। জানা গিয়েছে,জগন্নাথ মন্দিরের দক্ষিণ দিকের গেট থেকে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা।সেখানে রাখা প্রণামী বাক্স লুঠ করে নিয়ে চম্পট দেয় একদল দুষ্কৃতী।সূত্র মারফত জানা গিয়েছে,জগন্নাথ মন্দিরের দক্ষিণ দিকের গেট দিয়ে ঢুকে নৃসিংহ মন্দিরের সামনে থাকা প্রণামী বাক্সটি ভাঙে দুষ্কৃতীরা।তারপর সেটিতে রাখা একগুচ্ছ মূল্যবান গয়না হাতিয়ে নেওয়া হয়।লুঠ করা হয় প্রচুর টাকা পয়সা।
বিষয়টি শুক্রবার সকালে নজরে আসে সেবায়েতদের।এদিন পুজোর নির্দিষ্ট সময় নৃসিংহ মন্দিরে প্রবেশ করেই চক্ষু চড়কগাছ সেবায়েতদের।তাঁরা দেখেন প্রণামী বাক্স খালি এবং ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে।সহজেই অনুমান করেন,দুষ্কৃতীরা লুঠ করেছে সেই বাক্স।চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মন্দির চত্বরে। ছুটে আসেন সকল সেবায়েত এবং জগন্নাথ মন্দির কমিটির সদস্যরা।
ইতিমধ্যেই ভাঙা প্রণামী বাক্সটি শ্রী জগন্নাথ মন্দির অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের হাতে তুলে দিয়েছে জগন্নাথ টেম্পল পুলিশ। তাদের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে।দুষ্কৃতীদের ধরতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।কালপ্রিটদের খুঁজে বের করতে তৎপর পুলিশ।যদিও এখনও পর্যন্ত শ্রী জগন্নাথ মন্দির অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
আরও পড়ুন – কৃষ্ণনগর পুরসভায় শোরগোল, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সিবিআই নথি চাইতেই ‘উধাও’ কাগজ,
যদিও এখনও পর্যন্ত কত টাকার বহুমূল্য গয়না এবং কত নগদ খোয়া গিয়েছে,তার কোনও সঠিক হিসেব প্রকাশ্যে আসেনি। মনে করা হচ্ছে,বেশ অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে।