পুরীর রথযাত্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হতে পারে, বিশেষ বার্তা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের। রথযাত্রার (Rath Yatra) আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি। তাই পুরীতে (Puri) এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। এবছর পুরীতে রথযাত্রায় ১০ লক্ষ পর্যটকের সমাগম হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। তাই রথযাত্রার সময় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, নিরাপত্তার ঘাটতি না হয়, সে ব্যাপারে তৎপর ওড়িশা সরকার। তাই পুরীর সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন স্বয়ং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক (CM Naven Patnaik)। নিরাপত্তার পাশাপাশি রথযাত্রার সময় বিদ্যুৎ সরবরাহে যাতে কোনও ত্রুটি না হয়, তার উপরেও জোর দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বর্তমানে রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। তাপপ্রবাহের মধ্যে ভক্তদের কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায়, সে ব্যাপারেও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
এদিন রথযাত্রায় সংযুক্ত সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। মুখ্যসচিব প্রদীপ জিনা, ডিজিপি সুনীল বনশল সহ অন্য শীর্ষ আধিকারিকেরাও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রথযাত্রার সময় তাপপ্রবাহের মধ্যে ভক্তদের কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রত্যেকে যাতে রথযাত্রা উৎসবের পর সুস্থভাবে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে গ্রীষ্মের সময় যখন-তখন লোডশেডিং হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। রথযাত্রার সময় হঠাৎ করে লোডশেডিং হলে সেটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। তাই সেই ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওড়িশায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী বেসরকারি সংস্থা টাটা পাওয়ার-এর আধিকারিকদের সঙ্গেও সুষ্ঠুভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন – পুরীর মন্দিরে সেবায়ত ৩ শিশু, তাদের বার্ষিক আয় লক্ষাধিক,কিন্তু কিভাবে ?
এবারে রথযাত্রায় প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে বলে পুরী প্রশাসনিক আধিকারিকদের অনুমান। ভিড় সুষ্ঠুভাবে সামাল দেওয়ার ব্যাপারেও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। তিনি বলেন, “প্রত্যেক ওড়িশাবাসীর সর্বোচ্চ পরিচয় হল মহাপ্রভু (ঈশ্বর) জগন্নাথ। গোটা বিশ্ব প্রভুর (জগন্নাথদেব) রথযাত্রার জন্য অপেক্ষা করছে।শান্তিপূর্ণভাবে রথযাত্রা সম্পূর্ণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।”