ঝলদা পুরসভা নিয়ে সমস্যা এর কাটছে না। দিন ছয়েক আগেই ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হয়েছিল কংগ্রেসের। নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু, পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় সহ আরও ৩ কাউন্সিলর যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। সেই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মৃত তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। ক্ষমতার লোভে মিঠুনের বিশ্বাসঘাতকতার কথা বলতে গিয়ে প্রায় কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। সেই পূর্ণিমাই এবার ঝালদার উপ-পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন।
সূত্রের খবর, পূর্ণিমা যে পদত্যাগ করবেন তা আগে স্থির করে নিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতোর সঙ্গে কথাও বলেছিলেন তিনি। তারপর বৃহস্পতিবার পুরসভার অফিসে গিয়ে কার্যনির্বাহী আধিকারিক বিধান পাণ্ডের হাতে পদত্যাগ পত্র তুলে দিলেন পূর্ণিমা। ইস্তফা দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু ঝালদা পুরসভা কংগ্রেস আর সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়, তাই অযথা পদ দখল করে রাখার কোনও প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। তাই নৈতিক কারণেই এই পদত্যাগ। যদিও এরপরেও কাউন্সিলর থাকবেন তিনি।
তপন কান্দুর শূন্য আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হন তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু। এরপরই নির্দল দুই কাউন্সিলরকে সঙ্গী করে তৃণমূলের বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন কংগ্রেসের কাউন্সিলররা। হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে নভেম্বরে পুরসভার দখল নেয় কংগ্রেস। পুরপ্রধান হন শীলা, আর উপপুরপ্রধান হন নিহত তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা। কিন্তু তারপর থেকেই উন্নয়নের অর্থ বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। ওই বিষয়ে সম্প্রতি রাজ্যের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস পরিচালিত ঝালদা পুরসভা। তারপর গত সপ্তাহে দলের কাউন্সিলররাই দল বদল করায় ‘হাত’হীন হয়ে পড়েছিল ঝালদা পুরসভা। এবার ইস্তফা দিলেন পূর্ণিমাও।
গত পুরনির্বাচনে ঝালদা পুরসভার ১২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস এবং তৃণমূল পাঁচটি করে আসনে জয়ী হয়েছিল। দু’টি আসনে জয়ী হয়েছিলেন নির্দল প্রার্থীরা। গত পুরনির্বাচনে ঝালদা পুরসভার ১২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস এবং তৃণমূল পাঁচটি করে আসনে জয়ী হয়েছিল। দু’টি আসনে জয়ী হয়েছিলেন নির্দল প্রার্থীরা। বোর্ড গঠনের আগেই কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু (Tapan Kandu) খুন হয়েছিলেন। পুরবোর্ড গঠনের দিন তৃণমূলের পাঁচ কাউন্সিলরের সঙ্গে ছিলেন নির্দল হিসাবে জেতা দুই কাউন্সিলর। তাঁরাও সেদিন তৃণমূলের প্রার্থী সুরেশ আগরওয়ালকে সমর্থন করেছিলেন।