আর জি কর হাসপাতালের দুর্নীতি বিতর্কে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক ভিডিয়ো ফুটেজ। যত কাণ্ড আর জি কর হাসপাতালে। দুর্নীতি বিতর্কে এবার প্রকাশ্যে বিস্ফোরক ভিডিয়ো ফুটেজ। প্রকাশ্যে তিন স্বাস্থ্য প্রশাসককের কথোপকথন। হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। এক ‘স্যরের’ কথায় নাকি গরমিলের কাগজে সই করতে হয়েছে স্বাস্থ্য প্রশাসকদের। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা প্রশাসক বলছেন, ল্যাব টেকনিশিয়ান পদের ইন্টারভিউয়ের একেবারে শেষে থেকে চাকরিপ্রার্থীকে তালিকার শীর্ষে আনা হয়েছে।
ফুটেজে উপস্থিত অন্য দুই স্বাস্থ্য প্রশাসকের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত মেলেনি। মুখে কুলুপ অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। অধ্যক্ষ কিছু না বললেও, তাঁর দেহরক্ষীরা মুখ খুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, আখতার আলিও ধোওয়া তুলসি পাতা নন। গত ১৫ বছরে একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আখতার। দ্রুত সে বিষয়ে প্রমাণ যোগে সাংবাদিক বৈঠক করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অধ্যক্ষের দেহরক্ষীরা।
ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, আরজিকর হাসপাতালের উচ্চ পদস্থ এক মহিলাকর্মী বলছেন, “স্যর যদি বলেন, এখানে সই করো, তাহলে আমি কি না করতে পারি? আমি তো রাজি হইনি।”
অপর প্রান্তে বসে থাকা ব্যক্তি (যাঁকে ভিডিয়োতে দেখা যায়নি) বলছেন, “তোমরা যে নোটশিট করেছো, তাতে সব ফাঁসবে।” মহিলা: কী করব, স্যর যদি বলে কান্ট রিফিউজ… ব্যক্তি: ইয়েস, ইউজড টু রিফিউজ। খবর আছে, তুমি লিস্ট বানিয়েছো। ওই চাকরিপ্রার্থীর নাম চার নম্বরে ছিল?” মহিলা: লাস্টে ছিল… ব্যক্তি: লাস্টে ছিল, সেটা এক নম্বরে করা হয়েছে! মহিলা: ধুর, এই সব কথা বাইরে বলবেন না…চাকরি চলে যাবে…
আরও পড়ুন – অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার দরকার আছে কি না ED-র কাছে জানতে চাইল…
যদিও এই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি সাইন টিভি 24X7 । তবে কথোপকথনের সিলমোহর দিয়েছেন খোদ একসময়ে আর জি কর-এ নন মেডিক্যাল ডেপুটি সুপার পদে কর্মরত আখতার আলি। তাঁর দাবি, নোটশিটে সই করে স্বাস্থ্য প্রশাসকরা যে দুর্নীতিতে সামিল হয়ে যাচ্ছেন, তারই প্রমাণ এই ফুটেজ।