যাদবপুরের পর এবার আর জি কর, দরজা ভেঙে উদ্ধার হল ইন্টার্নের নিথর দেহ ,যাদবপুরের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে চলছে তোলপাড়।এরই মধ্যে ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের এক ইন্টার্নের। জানা গিয়েছে, ওই ইন্টার্নের নাম শুভ্রজ্যোতি দাস। নিমতায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি।শুক্রবার তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। এরপর দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে।ব্যক্তিগত কারণ নাকি পেশাগত কোনও চাপ ছিল শুভ্রজ্যোতির তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান,ওষুধের ওভার ডোজ তাঁর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরেই এই প্রসঙ্গে সঠিক কোনও তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে।
সৌরভ পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বাসিন্দা।তাঁর গ্রেফতারির খবর বিশ্বাস করতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা।পরিবারে শোকের ছায়া।সৌরভ বরাবর মেধাবী। উচ্চ মাধ্যমিকে চোখ ধাঁধানো ফলাফল করে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।ডব্লিউ বি সি এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চেয়েছিলেন তিনি। সৌরভের মা দাবি করেছেন,তাঁর ছেলে কোনও রকম র্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল না।তাঁদের ছেলেকে বাইরে রেখে পড়ানোর সামর্থ ছিল না। তাই হস্টেলে থেকেই চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল সৌরভ।অনেকেই এভাবে থাকেন বলে জানা তিনি। এই ঘটনায় যাবতীয় দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সূত্রের খবর,নিমতায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন শুভ্রজ্যোতি। কিন্তু,গত দুই দিন ধরে তাঁকে বাড়ি থেকে বার হতে দেখা যায়নি। এরপরেই তাঁর কাকার সন্দেহ হয়।শুক্রবার দরজা ভেঙে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে শুভ্রজ্যোতির নিথর দেহ উদ্ধার করেন তাঁর কাকা।খবর দেওয়া হয় পুলিশে।তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুভ্রজ্যোতির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে তদন্তকারীদের তরফে।এছাড়াও কিছুদিন ধরেই অবসাদ সংক্রান্ত চিকিৎসার মধ্যে ছিলেন শুভ্রজ্যোতি।তিনি ডিপ্রেশনের জন্য বিশেষ ওষুধও খেতেন বলে জানা গিয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে এই যুবকের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন – যাদবপুরের হস্টেলে কী কী ধরনের র্যাগিং হত, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন…
উল্লেখ্য,নদিয়ার বাসিন্দা তথা যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যমৃত্যু নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।এই ঘটনা গ্রেফতার করা হয়েছে যাদবপুরের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরীকে।স্বপ্নদীপকে কি র্যাগিং করা হত?তাঁর পরিবারের তরফে উঠেছে এমনই অভিযোগ।