৭২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ট্রাইসাইকেলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে দেখতে এলেন প্রতিবন্ধী রবি , প্রিয় নেতা অসুস্থ। তাই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Budhhadeb Bhattacharya) দেখতে ৭২ কিলোমিটার দূর থেকে আলিপুরের উডল্যান্ডস হাসপাতালে চলে এসেছেন এক সিপিএম কর্মী। ট্রেনে, বাসে অথবা গাড়ি ভাড়া করে নয়, তিনি এসেছেন ট্রাইসাইকেলে। প্রিয় নেতার প্রতি অগাধ ভরসায় রবি দাস জয় করেছেন সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে।
উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে বাড়ি। আলিপুরের উডল্যান্ডস হাসপাতাল (Woodlands Hospital) থেকে দূরত্ব ৭২ কিলোমিটার। প্রিয় নেতার অসুস্থতার খবর পেয়ে আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি রবি দাস। শনিবার বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে, হাতে টানা সাইকেল চালিয়ে পৌঁছে গেলেন উডল্যান্ডসে। প্রিয় নেতার খোঁজ নিতে। রবি দাস জানিয়েছেন, ‘এর আগেও সিঙ্গুর, ব্রিগেডে ওঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি। হাসপাতালে ভর্তচির খবর পেয়েই পরশুদিন রওনা হয়েছিলাম।’
গত শনিবার বিকেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে (Budhhadeb Bhattacharya)। ফুসফুসে সংক্রমণ সহ বেশ কিছু সমস্যায় ভুগছেন তিনি। যার জেরে গত দু’দিন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায়ে সোমবার দুপুরে তাঁকে বের করা হয়েছে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে। সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের বদলে এই মুহূর্তে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। চলছে বাইপ্যাপ সাপোর্ট। আপাতত রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও। পাশাপাশি জানিয়েছেন আগামী ২৪ ঘণ্টা তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
আরও পড়ুন – ‘অমানবিক সরকার’ বিধানসভায় কোন প্রসঙ্গ তুলে এ কথা বললেন শুভেন্দু ?
কোনও কোনও নেতার মুখে শোনা যায়, দলের কর্মীরাই তো দলের মেরুদণ্ড। রবি দাস তেমনই এক চরিত্র। ২০১৯-এ বুদ্ধবাবু শেষবার যখন ব্রিগেড গেলেন, সেবারও প্রিয় নেতার কথা শুনতে হালিশহর থেকে ট্রাই সাইকেল চালিয়ে রবি পৌঁছেছিলেন সেখানে । এমন আরও অনেক স্মৃতি ভিড় করে আসছে তাঁর মনে।হাসপাতালের চারপাশে গমগমে ভিড়। ক্যামেরার ফ্ল্যাশ বালবের ঝলকানি।তারই মাঝে প্রিয় নেতার জন্য অপেক্ষায় রবি দাস।হালিশহর থেকে আসতে গিয়ে বিগড়েছে ট্রাইসাইকেল।বাড়ি ফিরবেন কীভাবে সেটাও একটা চিন্তা। তবে তার চেয়েও বড় চিন্তা,প্রিয় নেতাকে নিয়ে। মুষ্টিবদ্ধ হাতটা শূন্যে ছুড়ে বললেন,এ লড়াই তো জিততেই হবে কমরেড !
