ভোটের মুখে পুনরায় সার্ভে, এবার রাস্তা না হলে ভোট বয়কটের পথে ৪ হাজার বাসিন্দা। প্রতি বার ভোট আসে, আর তার সাথে মেলে রাস্তা তৈরির প্রতিশ্রুতি। সন্তান সন্ততি বড় হয়ে পরিবার তৈরি হযে গেলেও রাস্তা আর তৈরি হয় না। এরকম পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুরে রায়গঞ্জ ব্লকের বড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা পুনরায় দেখলেন রাস্তা তৈরি করার জরিপ।
কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়ের এক প্রতিনিধি এবং এক ইঞ্জিনিয়ার আবারও সার্ভে করলেন রায়পুর মন্ডলপাড়া মোড় থেকে ২.৬ কিমি দূরে অবস্থিত বরুয়া দূর্গামন্দির ভায়া কানাইপুর পর্যন্ত রাস্তা। এই নিয়ে বারবার ৩ বার এমন সার্ভে হল বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় রাস্তা সংস্কার কমিটির সম্পাদক প্রনব দেবনাথ বলেন, আমরা পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, বিধায়ক সহ সর্ব্ত্র আবেদন করেছি। বিগত ২০ বছর ধরে এই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। আমরা শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় পথ অবরোধ করে শুধু আশ্বাস পেয়েছি।
কিন্তু রাস্তা হয়নি। এবার রাস্তা না হলে, আমরা ভোট বয়কটে যাব। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রশান্ত ঘোষ বলেন, এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ কৃষি কাজের সাথে যুক্ত। কিন্তু ফসল বাজারে বেচতে যাওয়াটাই তাদের প্রধান সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।প্রায় আড়াই কিমি রাস্তা খানাখন্দে ভরা। প্রতিবার ভোটের মুখে প্রতিশ্রুতি পাই যে, এবার নতুন রাস্তা হবে। কিন্তু ভোট ফুরোলে আবারও সেই আগের অবস্থা। তাই এবার যখন আবারও রাস্তার সার্ভে শুরু হ’য়েছে, তখন আমরা এই সার্ভেকে বিশ্বাস করছি না। যতক্ষণ না পর্যন্ত রাস্তার কাজের প্রয়োজনীয় সমস্ত মাল ফেলা হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা গ্রামের বাসিন্দারা ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছি।
জানা গেছে এই ২.৬ কিমি লম্বা রাস্তায় ৩টি কালভার্ট তৈরি হবে। এছাড়াও কোথাও কোথাও ১৪/১৫ ফুট পর্যন্ত চওড়া রাস্তার জন্য উত্তর বঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ তৎপর হয়েছে। এই রাস্তার ওপর নির্ভর করে আছেন কমপক্ষে ১৪/১৫ হাজার বাসিন্দা। কিন্তু ২০০৩ সালের পর থেকে এই রাস্তার কোনো সংস্কার হয়নি। কিন্তু বারবার ভোটের মুখে সমীক্ষা হয়ে চলেছ। তবে এবারের সার্ভের পর রাস্তা হবে বলে আশাবাদী বরুয়া সংসদের সদস্য অনুপ দাস ও প্রধান জগদীশ চন্দ্র রায়।
তারা বলেন, আশা করছি এলাকার বিধায়ক সৌমেন রায়ের উদ্যোগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের অর্থে এই রাস্তা এবার তৈরি হবেই। তা না হলে, এলাকার বাসিন্দারা যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাই মেনে নেবো। বাসিন্দাদের দাবি, এর আগে একবার ৭০ লক্ষ টাকা অর্থ বরাদ্দ হয়েও নাকি রাস্তার কাজ হয়নি। এবার কি আদৌ রাস্তা তৈরি করবে সরকার, নাকি ভোট শেষে সব চলে যাবে লাল ফিতের ফাইলে, এমনটাই প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের।