২০২২ শেষে ফিরে দেখা নিয়োগ দুর্নীতি
পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার
জুলাই মাস থেকেই শুরু হয়েছে তলব, জেরা। অবশেষে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হন ২৩ জুলাই। সারা দিন-রাতভর তাঁকে জেরা করার পর ইডি গ্রেফতার করে তাঁকে। নাকতলার বাড়িতে তাঁকে ২৭ ঘণ্টা জেলা করা হয় চানা। তারপর তাঁকে তৃণমূলের মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সরিয়ে দেওয়া হয় মন্ত্রিসভা থেকেও।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ে সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পাওয়া চিরকূটের সূত্র ধরে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। তারপর তল্লাশি চালানো হয় অর্পিতার রথতলার ফ্ল্যাটে। অর্পিতার বাড়ি থেকে মোট পাওয়া যায় নগদ ৫০ কোটি টাকা। উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকার সোনা। পার্থ-অর্পিতার অ্যাকউন্টেরও খোঁজ মেলে। উদ্ধার হয় একাধিক দলিল। বিভিন্ন সম্পত্তি।
এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা গ্রেফতার
পার্থ-অর্পিতার গ্রেফতারির পর এসএসসির দুই প্রাক্তন উপদেষ্টাকে গ্রেফতার করেন সিবিআই। তাঁরা হলেন, শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর ১০ অগাস্ট গ্রেফতার করা হয় শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহাকে। হাইকোর্টের বাগ কমিটির রিপোর্টেও তাঁদের নাম ছিল। সিবিআইয়ের এফআইআরে এক নম্বরে ছিল শান্তিপ্রসাদ সিনহার নাম। চার নম্বরে ছিল অশোক সাহার নাম।
মিডলম্যান গ্রেফতার নিয়োগ দুর্নীতিতে
এরপর গত ২৪ অগাস্ট গ্রেফতার হন প্রদীপ সিং। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। প্রদীপ মিডলম্যান হিসেবে গ্রেফতার হন। অভিযোগ, তিনি অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তারপর সেই প্রার্থীদের তথ্য তিনি দিতেন শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে। প্রদীপ সিং যে সংস্থায় কাজ করতেন, সেই সংস্থার মালিক প্রসন্ন রায়। তিনিও মিডলম্যান এই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। ২৫ অগাস্ট সল্টলেকে প্রসন্নের সংস্থায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। তারপর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গ্রেফতার
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে একাধিকবার জেরা করার পর সিবিআই গত ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। প্রায় ৬ ঘণ্টা জেরা করার পর তাঁকে গ্রেফতার রা হয়। নিয়োগ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন কল্যাণময়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। ভুয়ো নিয়োগপত্রে সই করতেন কল্যাণময়। তাঁরও নমা ছিল বাগ কমিটির রিপোর্টে।
আরও পড়ুন – মিঠুনের সেটে খাবার দিতেন বাবা, এখন আমি তাঁর সিনেমার প্রযোজক : দেব
এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য গ্রেফতার
এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের নামও ছিল বাগ কমিটির রিপোর্টে। আগস্ট মাসে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের শিলিগুড়ির বাড়িতে যায় সিবিআই। সেখানে তল্লাশি চালানোর পর কলকাতার বাঁশদ্রোণীর বাড়িতে তল্লাশি চলে। তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে। প্রাথমিকে নিয়েগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ায়। তাঁকে একাধিকবার দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে ১১ অক্টোবর। রাতভর জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অরপর মানিস ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তল্লাশি চালানো হয়। ২০২২ শেষে