পায়ের অবস্থা ভাল নেই পার্থর, বললেন ‘সেটাই দুর্ভাগ্যের, প্রদীপের নীচেই অন্ধকার’, পায়ের পাতা ফুলে ঢোল হয়েছে। মঙ্গলবার আদালত কক্ষেও এই নিয়ে সরব হয়েছেন পার্থ। জেলবন্দি থাকাকালীন ঠিকঠাক চিকিৎসা পরিষেবা যাতে পান, সেই বিষয়ে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। আর এবার আদালত থেকে বেরিয়ে, নিজেই পা এগিয়ে দিয়ে দেখালেন, কী অবস্থা হয়ে রয়েছে। যদিও পার্থবাবুর ব্যাখ্যা, তিনি একবারও বলেননি জেলের চিকিৎসা পরিষেবা ভাল নয়। তাঁর বক্তব্য, পরিষেবা অপর্যাপ্ত। এরপরই পুলিশের গাড়ি থেকে নামতে নামতে নিজের পা এগিয়ে দিয়ে দেখালেন। বললেন, ‘আমার নিজের পায়ের অবস্থাটা দেখুন, তাহলে বুঝতে পারবেন কী অবস্থা।’
উল্লেখ্য, এর আগেও জেলে থাকাকালীন পায়ের অবস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। সেটা চলতি বছরের মার্চ মাস। সেই সময় এক ভার্চুয়ালি শুনানি পর্বে পা ফুলে যাওয়া নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণের করেছিলেন তিনি। তখনও সরব হয়েছিলেন জেলের চিকিৎসা পরিকাঠামো নিয়ে। বলেছিলেন, ‘যদি মরে যাই, তাহলে আর বিচার কী হবে!’ আর এরপর মঙ্গলবার আবারও আদালতে সেই পা ফুলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পার্থ। এদিনও বলেন, ‘মরে গেলে বিচার করে কী হবে স্যর!’
আরও পড়ুন – বাইরনের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে কিছু জানেন না মুখ্যমন্ত্রী ,মমতার গলায় শোনা গেল…
পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই সঙ্গে এটাও বুঝিয়ে দেন, জেলে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে তাঁর অভিযোগ থাকলেও, সরকারের উপর তাঁর এখনও আস্থা রয়েছে। এতদিন ধরে সরকারকে ‘ট্রিটমেন্ট’ দিলেন পার্থ, এত দায়িত্ব পালন করলেন… আর এখন সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই ‘ট্রিটমেন্ট’ পাচ্ছেন না? সাংবাদিকের প্রশ্নে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থর সটান জবাব, ‘সেটাই দুর্ভাগ্যের, প্রদীপের নীচেই অন্ধকার।’ যদিও এরপরই তিনি আবার বলেন, ‘সরকারের উপর আস্থা রাখতে হবে।’ তাহলে কি এখনও আস্থা রাখছেন পার্থ? সেই উত্তরও দিয়ে গেলেন নিজেই। বলে গেলেন, ‘হ্যাঁ, আমার এখনও আস্থা আছে।’