জামিনের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে আগেই জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর এবার জামিনের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য। আগামী ৩০ অগস্ট এই জামিনের আবেদনের মামলার শুনানি রয়েছে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে। প্রসঙ্গত, এর আগে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকেও জামিনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। চলতি মাসেরই শুরুর দিকে (৭ অগস্ট) মানিকের স্ত্রীর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। আর এবার জামিন পেতে আদালতের দুয়ারে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার মানিকের ছেলেও।
বিচারপতি সেদিন এও বলেছিলেন যে মানিকের বিরুদ্ধে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, আর্থিক যোগসূত্রের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যও যে এই যাবতীয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, সেটা কীভাবে প্রমাণ হচ্ছে? প্রশ্ন করেন বিচারপতি। আর যদি এমন কোনও তথ্য তদন্তকারী সংস্থার হাতে থাকে, তাহলে কেন মানিকের স্ত্রীকে প্রথমেই গ্রেফতার করা হয়নি, সেটাও জানতে চান তিনি।
প্রসঙ্গত, ইডি প্রথমে মানিকের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেনি। তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছিল। সেই সমনের প্রেক্ষিতে যখন তিনি আদালতে গিয়েছিলেন আত্মসমর্পণ করতে। সেই সময় নিম্ন আদালতের বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে ইডির তরফে শতরূপাকে গ্রেফতার করতে চেয়ে কোনও আবেদনও জানানো হয়নি, সেই কথাও উঠে এসেছিল মানিকের স্ত্রীর জামিন মামলার শুনানিতে। এখন দেখার মানিক-পুত্র সৌভিকের জামিন মামলায় শেষ পর্যন্ত কী নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন – ‘জম্মু ও কাশ্মীরের ছেলে যাদবপুরে ভর্তি হতে পারে না’, NIA চাইছেন শুভেন্দু,
শতরূপাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এক লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মিলেছে। একইসঙ্গে শতরূপা ভট্টাচার্যের পাসপোর্টও জমা রাখতে হয়েছে। অর্থাৎ জামিন মিললেও দেশের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। উল্লেখ্য, গত ৭ অগস্ট যখন হাইকোর্ট মানিক-জায়া শতরূপা ভট্টাচার্যকে জামিন দেয়, তখন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেছিলেন, মানিকের স্ত্রীকে আর হেফাজতে রাখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না আদালত।