জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে তলব করল সিবিআই

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে তলব করল সিবিআই

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে তলব করল সিবিআই , রিলায়েন্স জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের এক মামলায় সাক্ষী দিতে হবে তাঁকে। ২৮ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির আকবর রোডে অবস্থিত সিবিআই-এর গেস্ট হাউসে তাঁকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সত্যপাল মালিক বলেছেন, “তারা কিছু বিষয়ে স্পষ্টতা চায়। এর জন্য তারা আমাকে হাজিরা দিতে বলেছে। আমি রাজস্থানে যাচ্ছি। তাই, আমি ওদের ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছি। ওই সময়ই আমি ফাঁকা থাকব।” ২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন শিল্পপতি অনিল অম্বানির মালিকানাধীন সংস্থা, রিলায়েন্স জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের একটি চুক্তি বাতিল করেছিলেন সত্যপাল মালিক। সিবিআই এফআইআর-এ বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারি কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য একটি স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প চালু করার ক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে ট্রিনিটি রিইন্স্যুরেন্স ব্রোকার্স এবং রিলায়েন্স জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের।

 

 

 

 

 

২০২২-এর সেপ্টেম্বরেও সত্যপাল মালিকের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছিল সিবিআই। বিমা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তাঁর করা অভিযোগগুলি সম্পর্কে আরও তথ্য চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। একইসঙ্গে কিরু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজের চুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগে হওয়া আরও একটি মামলা নিয়েও তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিল সিবিআই। ২০১৮ সালের ২৩ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল হয়েছিলেন সত্যপাল মালিক। ওই পদে ছিলেন ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। তারপর গোয়া এবং মেঘালয় – আরও দুই রাজ্যের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।

 

 

 

আরও পড়ুন – আদালত চত্বরে চলল গুলি ,আইনজীবীর পোশাক পরে মামলাকারী মহিলার উপরে হামলা

 

 

 

এই মামলার ক্ষেত্রে জালিয়াতির অভিযোগ প্রথম করেছিলেন সত্যপাল মালিকই। তারপরই তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এই বিমা প্রকল্পে প্রায় ৩.৫ লক্ষ কর্মচারীকে বিমার সুরক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে সেই বিমা প্রকল্প চালুও করা হয়েছিল। কিন্তু, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এক মাসের মধ্যেই সেই প্রকল্প বাতিল করেছিলেন সত্যপাল মালিক। সেই সময় সত্যপাল মালিক জানিয়েছিলেন, এই চুক্তি ‘প্রতারণামূলক’ বলে দাবি করে রাজ্য সরকারি কর্মীরা চুক্তিটি বাতিল করতে চেয়েছিলেন। এরপর তিনিও বিশদটি খতিয়ে দেখেন এবং তিনিও বুঝতে পারেন, এই চুক্তির ক্ষেত্রে বেনিয়ম রয়েছে। সত্যপাল মালিক বলেন, “আমি নিজেই ফাইলগুলি দেখেছিলাম। চুক্তিটি তাদের ভুলভাবে দেওয়া হয়েছে দেখে, আমি এটি বাতিল করে দিয়েছিলাম।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top