
বন্যার রেশ কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের ভগবন্তপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।কয়েকদিন আগেই ভারি বৃষ্টি ও ব্যারেজের ছাড়া জলে শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীর একাধিক বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল চন্দ্রকোনার দুটি ব্লকের মোট ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৮ টির গ্রাম পঞ্চায়েত এর বহু গ্রাম।
চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের ভগবন্তপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুরে শিলাবতী নদীর উপর কাঠের সেতু জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে, এছাড়াও ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই ধরমপোতা গ্রামে কেঠিয়া ও কানা নদীর সংযোগস্থলে থাকা অপর একটি কাঠের সেতু জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে এবং কৃষ্ণপুর এলাকায় কেঠিয়া নদীর উপর থাকা আরও একটি কাঠের সেতু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।নদী তীরবর্তী ভগবন্তপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষের জরুরি পরিষেবা থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে যাতায়াতের (River crossing) একমাত্র ভরসা ছিল চৈতন্যপুর ও ধরমপোতা এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৈরি দুটি কাঠের সেতু।
আর ও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) দেওয়া ২০২১ সালের সেরা উপহার
বন্যায় এই দুই গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ২৫-৩০ টি গ্রামের মানুষ। পাশাপাশি এই দুই সেতুর উপর দিয়ে চলতো ছোট চারচাকার যানবাহন, বর্তমানে তা সম্পুর্ন বন্ধ।নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে আবার জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে এখন হাজারও মানুষের একমাত্র ভরসা নৌকা।
চৈতন্যপুর ও ধরমপোতা দুই জায়গায় গ্রামবাসীরাই নিজেদের উদ্যোগে নৌকা চলাচলের (River crossing) ব্যবস্থা করেছে বলে জানাযায়।নৌকায় সাইকেল, মোটরসাইকেল চাপিয়েও চলছে ঝুঁকির যাতায়াত, বন্যা কাটলেও বর্তমানে যাতায়াতে চরম সমস্যায় পড়েছে ২৫-৩০ টি গ্রামের মানুষ। তাদের দাবি, প্রশাসন দ্রুত ভেঙে পড়া গুরুত্বপূর্ণ এই দুই কাঠের সেতু মেরামত করে যাতায়াতের উপযুক্ত করে তুলুক।
যদিও এবিষয়ে ভগবন্তপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইকবাল সরকার সমস্যার কথা স্বীকার করে জানান,”৪ টি কাঠের সেতুর মধ্যে দুটি ভেঙে গেছে, একটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মেরামত প্রয়োজন।চন্দ্রকোনা ২ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে এই সেতুগুলি নিয়ে, আমরা তা পাঠিয়ে দিয়েছি।
এমনকি ঘাটালে রাজ্যসরকারের যে কমিটির সদস্যরা বন্যা পরিদর্শনে এসেছিল সেচ ও নিকাশি বিভাগের প্রধান সচিবের নেতৃত্বে মহকুমার সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে।সেখানেও এই ভেঙে পড়া সেতু গুলি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। আশ্বাস মিলেছে জেলা পরিষদের মাধ্যমে দ্রুত এই সেতুগুলি মেরামত করার ব্যবস্থা করা হবে।”প্রায় একমাস হতে চললো, বন্যা পরবর্তী যাতাযাতের (River crossing) ক্ষেত্রে নিত্যদিন হাজারও মানুষ এমনই চরম দুর্ভোগের শিকার চন্দ্রকোনায়।