পথ দুর্ঘটনায় স্কুলপড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ বেহালা, জ্বলল পুলিশ ভ্যান,লরির ধাক্কায় পড়ুয়ামৃত্যুতে রণক্ষেত্র বেহালা, মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়েরা।আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের ভ্যানে।বেশ কয়েকটি সরকারি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয়দের বিক্ষোভে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ডায়মন্ড হারবার রোড।বিক্ষুব্ধ জনতার দাবি,দুর্ঘটনার পর লরিচালককে ধরা গেলেও পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে।পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও এনেছেন স্থানীয়রা।তবে সকাল ১০টা নাগাদ কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বাবলাতলা থেকে ওই ঘাতক লরির চালককে গ্রেফতার করে হাওড়া ট্র্যাফিক পুলিশ।পরে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের হাতে।
উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল বাহিনীও।পুলিশের তরফে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।উন্মত্ত জনতার ছোড়া পাথরে আহত হয়েছেন কয়েক জন পুলিশকর্মী।আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন স্থানীয়ও।স্থানীয় এক মহিলার মুখে কাঁদানে গ্যাসের সেল এসে লাগায় গভীর ক্ষত হয়েছে বলে অভিযোগ। যা ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়,‘‘পুলিশ নিজের কাজ করে না।ঘুষ খেতে ব্যস্ত।পুলিশ সচেষ্ট হলে কখনও এমন ঘটনা ঘটতে পারে?’’
বেহালার চৌরাস্তার কাছে বেশ কয়েকটি স্কুল রয়েছে।তাই সকাল থেকেই ওই রাস্তায় পড়়ুয়া এবং অভিভাবকদের ভিড় লেগে থাকে। কিন্তু পুলিশ যান নিয়ন্ত্রণের বদলে বড় বড় ট্রাক-লরির থেকে টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
এই দুর্ঘটনার ঘণ্টা দুয়েক পর শিশুটির মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।পুলিশের যে ভ্যান এবং বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল,দমকল এসে তা নেভানোর কাজ শুরু করে।আগুন নেভানোর পর সেগুলি রাস্তা থেকে সরানো হয়।অন্য দিকে,অবরোধ তুলে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে পুলিশ।প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ ডায়মন্ড হারবার রোড।
আরও পড়ুন – বাঘাযতীনে দুই ভ্যানচালকের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় মৃত্যু হল একজনের
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।তিনি বলেন,‘‘যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।এমনটা নয় যে ওখানে পুলিশ ছিল না।কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা হবে।ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে,তা-ও নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে।’’