হাসপাতালে শুয়েই শারদীয়ার শুভেচ্ছা রুবেলের

হাসপাতালে শুয়েই শারদীয়ার শুভেচ্ছা রুবেলের

নিম ফুলের শ্যুটিং সেটে পা ভেঙ্গেছিল তার। সদ্য সুস্থ হয়ে ফের সেটে ফিরেছেন রুবেল। ফের বিপদ রুবেলের। পুজোয় আনন্দ করার বদলে হাসপাতালের বিছানাতেই শুয়ে দিন কাটল তাঁর। হ্যাঁ, ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা রুবেল দাসের কথাই বলছি। হাসপাতালের বিছানা থেকে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। পাশে রয়েছেন তাঁর প্রেমিকা শ্বেত ভট্টাচার্য। সকলকে শুভ বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এটাও লিখেছেন যে, ‘এবার পুজো আমার কেটেছে ডেঙ্গুর সঙ্গে’। দ্বিতীয়া থেকে শুরু করে এখনও লড়াই শুধু সুস্থ হওয়া নিয়ে। অসুস্থ অবস্থায় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ পাতালকোট দুরপাল্লা ট্রেনে আগুন, নেই কোনো হতাহতের খবর

পরিবার আর শ্বেতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রুবেল আরও লেখেন, ‘পরিবার পাশে না থাকলে এই লড়াই অনেক কঠিন ছিল। বিশেষ করে শ্বেতা না থাকলে সুস্থ হওয়া খুবই কঠিন ছিল। আমার জন্যে তুমি নিজে ঠাকুর দর্শন পর্যন্ত করলে না। সারাদিন আমাকে খাইয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে, ডক্টর এর সাথে কথা বলা, আমার ওষুধ, আমার ব্লাড টেস্ট , প্লেটলেট নিয়ে চিন্তা, আমাকে মানসিক শক্তি দেওয়া, আমার প্রত্যেক বিষয়ে খেয়াল রাখা। মনে হল উমা আমার সঙ্গেই ছিল সর্বক্ষণ। তাই আমি এখন সুস্থ । কৃতজ্ঞ তোমার কাছে।’ সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট হাসপাতালের কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

 

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্যের মা। ওই কটা দিন চোখের পাতা এক করতে পারেননি পর্দার যমুনা ঢাকি। এই সময় ডিজিটালের তরফে শ্বেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাঁর কথাতেই বোঝা গিয়েছিল কতটা দুঃশ্চিন্তায় তিনি রয়েছেন। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আরও এক প্রিয় মানুষের সঙ্গে হাসপতালে দিন কাটছে শ্বেতার। রুবেলকে সুস্থ করে তুলতে দিনরাত এক করে কসরত করছেন। আর সেই জন্য রুবেলও শ্বেতার মতো পার্টনার পেয়ে নিজেকে ধন্য বলে মনে করছেন।

 

দাদাগিরি সিজন ১০- এ হাজির ছিলেন নিম ফুলের মধু খ্যাত রুবেল দাস। তাঁর জীবনের লড়াইয়ের কাহিনি তুলে ধরেছিলেন অভিনেতার মা। বাবার মৃত্যুর পর ছেলেকে মানুষ করতে লোকের বাড়ির আয়ার কাজ পর্যন্ত করেছেন। যোগ্য সন্তান হয়ে রুবেল আজ তাঁর মায়ের গর্ব। দাদাগিরির মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছেলের জন্য গর্ববোধ করছেন রুবেলের মা। তাঁর লড়াই সফল হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।

en.wikipedia.org