গুঁড়িয়ে দেওয়া হল স্মৃতি! সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরেই হাত পড়ল লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে, দক্ষিণ কলকাতার লেক গার্ডেন্সের পোস্ট অফিসের গলিতে ঢুকলেই চোখে পড়ত একটি বাড়ি। গ্রিল দেওয়া দোতলা বাড়ি থেকে দু’বছর আগেও শোনা যেত গান। এখন সেই বাড়ি থেকেই শোনা যাচ্ছে শাবল-হাতুড়ির শব্দ। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাড়িটা। সেই স্তূপের নীচে উঁকি মারছে ‘এস. গুপ্ত’ লেখা একটা নেমপ্লেট! দক্ষিণ কলকাতার এই বাড়িটাতেই থাকতেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। মৃত্যুর ২ বছর যেতে না যেতেই সেই বাড়ি ভেঙে ফেলা হল। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ভালই ছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন সঙ্গীত শিল্পীর মৃত্যুর পর তার বাড়িটা সংরক্ষণ করা হবে। কিন্তু সেটা হল না।
কিন্তু কেন ভেঙে ফেলা হচ্ছে গীতশ্রীর বাড়ি? জানা গেছে, এই বাড়ি ভেঙে তৈরি হবে বহুতল। প্রোমোটাররা কিনে নিয়েছেন সেই জায়গা। সন্ধ্যা-শ্যামলের কন্যা সৌমী প্রোমোটারদের বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ভাঙা বাড়ির ছবি। লেক গার্ডেন্সের পোস্ট অফিসের গলিটা অনেকেই চেনেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গলি বলেই। সেই গলিতেই ছিল ডি/১৬১ নম্বরের বাড়িটা। সেই বাড়ি ছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের স্বামী গীতিকার-সুরকার শ্যামল গুপ্তর বাড়ি। তাই বাড়ির বাইরে নামফলকে লেখা ছিল ‘এস. গুপ্ত’।
আরও পড়ুন – ‘আপনি ঠিক আছেন তো?’ আঘাতের খবর পেয়ে মমতাকে ফোন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ…
আরও পড়ুন – কপ্টার বিভ্রাটের সময় পা ও কোমরে চোট মুখ্যমন্ত্রীর, নিয়ে যাওয়া হল এসএসকেএম…
সেখানে এখন কোনও বাড়ি নেই। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও শ্যামল গুপ্তর স্মৃতি বিজড়িত সামগ্রী। সেইসব ছবিই ঘুরছে বিভিন্ন মানুষের সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে। অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন এমন ছবি দেখে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শেষ স্মৃতিটুকু মুছে যাচ্ছে। প্রতিবেশীদের অনেকের চোখের কোণেই জল।
( সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )