হঠাৎই সদলবলে দিল্লির একটি থানায় গেলেন সত্যপাল মালিক

হঠাৎই সদলবলে দিল্লির একটি থানায় গেলেন সত্যপাল মালিক

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

হঠাৎই সদলবলে দিল্লির একটি থানায় গেলেন সত্যপাল মালিক। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা সত্যপাল মালিক গ্রেফতার! শনিবার বিকেলে এমনই জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল রাজধানীতে। অবশ্য জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, সত্যপালকে গ্রেফতার করা হয়নি। তিনি স্বেচ্ছায় থানায় এসেছেন, আবার নিজের ইচ্ছাতেই থানা থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন।

 

 

 

 

 

শুক্রবারই সত্যপালকে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। কাশ্মীরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য রিলায়েন্স বিমা মামলা নিয়ে তাঁকে আগামী ২৮ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিটি। কিছু দিন আগেই ২০১৯-এর পুলওয়ামা হামলা নিয়ে তাঁর মন্তব্যে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল।

 

 

 

 

গত সপ্তাহেই ২০১৯-এর পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন সত্যপাল। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়্যার’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সত্যপাল দাবি করেছিলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়কে নিরাপত্তা প্রদান নিয়ে ঢিলেঢালা মানসিকতা ছিল প্রশাসনের। ওই ঘটনায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। গাফিলতির কথা তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানালে নরেন্দ্র মোদী নাকি তাঁকে মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন। সত্যপালের এই মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। বিরোধীরা মোদী সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। এই প্রেক্ষাপটে সিবিআইয়ের ডাক পান সত্যপাল। বিরোধীরা সরকারের ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ’ নিয়ে সরব হয়। সিবিআইয়ের সমন পেয়ে সত্যপাল অবশ্য জানান, তিনি কৃষক পরিবারের ছেলে, তাই কাউকে ভয় পান না। তাঁর এই মন্তব্যের পর দিনই কৃষক সমাবেশ নিয়ে তোড়জোড় শুরু করার মধ্যে অন্য তাৎপর্য দেখতে পাচ্ছেন কেউ কেউ।

 

 

 

আরও পড়ুন –  যোগীরাজ্যের হাসপাতালে ভুয়ো ডাক্তারের হাতে মৃত্যু অন্তঃসত্ত্বার!

 

 

 

শনিবার দুপুরে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে সত্যপাল লেখেন, ‘গ্রেফতার’। তার পরই খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, দিল্লির আর কে পুরম থানায় আটক করা হয়েছে সত্যপাল এবং তাঁর কয়েক জন সঙ্গীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, সত্যপাল বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের কয়েক জন প্রতিনিধিকে নিয়ে তাঁর দিল্লির বাড়ি সংলগ্ন একটি ফাঁকা জায়গায় সমাব‌েশ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বসতি এলাকায় পুলিশ এই ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। পুলিশের তরফে অনুমতি না দেওয়ার খবর জানাতেই মূলত হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা কৃষক প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বাসে করে থানায় পৌঁছন সত্যপাল। পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে সত্যপাল বলেন, “পুলিশ বলেছে, তারা এখনই আমাদের গ্রেফতার করছে না।”

RECOMMENDED FOR YOU.....